× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঐক্য এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান খালেদা জিয়ার

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৩ নভেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার

কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ভীষণ অসুস্থ বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেন, তার (খালেদা জিয়ার) শরীরে ব্যথা আরো বেড়েছে। চারদিন ধরে তাকে কোনো থেরাপি   
 দেয়া হচ্ছে না। গতকাল নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

বিকাল পৌনে তিনটার দিকে মির্জা ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও মির্জা আব্বাস খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। বেরিয়ে এসে ফখরুল বলেন, অনেকদিন পর ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পেয়েছি। তিনি অসুস্থ, ভীষণ অসুস্থ। তাই আমরা তার অসুস্থতার বিষয়েই কথা বলেছি।
পিজি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে) হাসপাতালে তাকে যে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে ও তার চিকিৎসার ব্যাপারে যে পরামর্শ দেয়া হয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ সেটা মানছেন না। কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করেই তাকে হুইল চেয়ারে করে আবার কারাগারে নিয়ে এসেছেন। আমরা তখনই বলেছিলাম এটা অমানবিক। তিনি বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) যেহেতু রাজি হয়েছেন, তাই অবিলম্বে তাকে আবারো পিজি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।  

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আইনের মধ্যে কোথাও নেই, একজন অসুস্থ মানুষকে যিনি চলতে পারেন না, হুইল চেয়ারে করে তাকে আদালতে আনতে হবে, আবার কারাগারে পাঠাতে হবে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। খালেদা জিয়ার সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে ফখরুল বলেন, আমরা তার অসুস্থতা নিয়েই কথা বলেছি। তবে তিনি আমাদের জন্য দোয়া করেছেন। তিনি আশা করছেন, জনগণকে নিয়ে আমরা যে ঐক্য করেছি সেটা যেন সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই।

খালেদার প্রার্থিতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা। সোমবার নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। রফিকুল ইসলাম বলেন, মনোনয়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রিটার্নিং কর্মকর্তার। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যে কোনো প্রার্থী কমিশনে আপিল করতে পারবেন। ৮ই নভেম্বর ইসি একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। এই নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ফেনী-১ এবং বগুড়া-৬ ও ৭ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম তোলা হয়েছে। যে কারণে খালেদা জিয়া আদৌ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন কি-না, তা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। কারণ উচ্চ আদালত ইতিমধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। নিম্ন আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ৭ বছরের সাজা হয়েছে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে প্রার্থীর যোগ্যতা ও অযোগ্যতা সম্পর্কে বলা আছে, কোনো ব্যক্তি কোনো আদালতে দুইবছর বা তার বেশি সময়ের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন। তবে আদালতের এমন রায়ের বিরুদ্ধে কেউ উচ্চ আদালতে আপিল করলে সেই ব্যক্তি নির্বাচন করতে পারবেন কি-না, সে বিষয়ে আইনে কোনো ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, জমা হওয়া মনোনয়নপত্র বৈধ কি অবৈধ সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার রিটার্নিং কর্মকর্তার। রিটার্নিং কর্মকর্তা কারও মনোনয়নপত্র অবৈধ বলে বাতিল করলে তার বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি ইসিতে আপিল করতে পারবেন। কমিশন সেই আবেদন বাতিল করলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন। আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবেন, কমিশন সে অনুযায়ী কাজ করবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর