× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভোটের নয়া তারিখ ৩০শে ডিসেম্বর

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৩ নভেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাবির মুখে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩০শে ডিসেম্বর করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা এ কথা জানান। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইভিএম প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিইসি বলেন, কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও জোট জাতীয় নির্বাচনের ভোটের তারিখ পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের জন্য অত্যন্ত স্বস্তির বিষয় যে বিএনপি, ঐক্যফ্রন্ট, বিকল্পধারাসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিলাম।

আমাদের বিশ্বাস ছিল, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। সেই আলোকে নির্বাচন কমিশন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল পুনঃনির্ধারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৮শে নভেম্বর, ভোটগ্রহণ ৩০শে ডিসেম্বর।
সিইসি আরো বলেন, মানুষ ভোট দিতে চায়। এ ভোটের জিম্মাদার নির্বাচন কমিশন। পরে সন্ধ্যায় তফসিল পুনঃনির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে ইসি। পুনঃনির্ধারিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের শেষ তারিখ ২রা ডিসেম্বর এবং প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৯ই ডিসেম্বর। নির্বাচন নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক শিবিরে মতানৈক্যের মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি নূরুল হুদা। সেখানে ২৩শে ডিসেম্বর ভোটের তারিখ ধরে ১৯শে নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল, ২২শে নভেম্বর বাছাই এবং ২৯শে নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ রাখা হয়।

বিএনপির ভোট বর্জনের মধ্যে গঠিত দশম সংসদের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালের ২৯শে জানুয়ারি, সেই সংসদের মেয়াদ আগামী বছরের ২৮শে জানুয়ারি শেষ হচ্ছে। ফলে তার আগের ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসি’র সামনে। রোববার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেন ও মুখপাত্র বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জোটের এক সংবাদ সম্মেলন থেকে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন। পরে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলও ভোটে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। তবে ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে নির্বাচন এক মাস পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানানো হয়। এদিকে বিকল্পধারা চেয়ারম্যান ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট তফসিলের পরপরই নির্বাচন সাত দিন পেছানোর দাবি জানিয়েছিল। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, রাজনৈতিক জোটগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভোটের তারিখ পিছিয়ে দিলে তাতে তাদের আপত্তি থাকবে না। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন তফসিল পুনঃনির্ধারণ করে নির্বাচনের জন্য নতুন যে তারিখ ঘোষণা করলো, তাতে বি. চৌধুরীর যুক্তফ্রন্টের দাবিই টিকলো।

৩০০ আসনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশ: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩০০ সংসদীয় আসনের নির্বাচনী এলাকায় ভোটের পরদিন পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব  ফরহাদ আহম্মদ খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে  এ নির্দেশ দেয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, মোবাইল কোর্ট আইন অনুযায়ী, ২০০৯-এর আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন। প্রতিটি উপজেলায় একজন, সিটি করপোরেশন এলাকায় ভৌগোলিকভাবে পাশাপাশি অবস্থিত প্রতি ৩ থেকে ৪টি ওয়ার্ডের জন্য একজন, সিটি করপোরেশন ছাড়া জেলা সদরে প্রতি পৌর এলাকায় এক থেকে দুইজন এবং পার্বত্য এলাকায় ভৌগোলিকভাবে পাশাপাশি অবস্থিত ৩ থেকে ৪টি উপজেলার জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

চিঠিতে আরো বলা হয়, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ছাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে সংশ্লিষ্ট উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ করা যেতে পারে। যেসব সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মরত নেই, সেসব উপজেলায়, জেলা পর্যায়ে কর্মরত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে অথবা বিভাগীয় বা অন্য কোনো অফিস/প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে নিয়োগ দিতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্বাচনের আচরণবিধি পালনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ জানায় ইসি।

রিটার্নিং অফিসারদের দিনব্যাপী ব্রিফিং আজ: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিয়োগকৃত রিটার্নিং অফিসারদের সার্বিক বিষয়ে ব্রিফ করবে ইসি। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় নির্বাচন কমিশনের অডিটরিয়ামে দিনব্যাপী এ ব্রিফ অনুষ্ঠিত হবে। সিইসিসহ তিন নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিব রিটার্নিং অফিসারদের দিকনির্দেশনা দেবেন।

এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করার তথ্য ইসিতে জানানোর সময় বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১৫ই নভেম্বরের মধ্যে এ তথ্য ইসিকে জানাতে হবে। ইসি সূত্রে জানা যায়, জোটবদ্ধ নির্বাচন করার তথ্য জানানোর শেষদিন ছিল রোববার। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোট জাতীয় নির্বাচনের ভোটের তারিখ পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছিল। এজন্য ভোটগ্রহণের তারিখ ২৩শে ডিসেম্বর থেকে পিছিয়ে আগামী ৩০শে ডিসেম্বর করা হয়েছে। তাই জোটবদ্ধ নির্বাচনের তথ্য জানানোর সময়ও বাড়ানো হয়েছে। ইসি সূত্র জানায়, সোমবার রাতেই নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সময় বাড়ানো বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আজ ১৩ই নভেম্বর থেকে ১৫ই নভেম্বরের মধ্যে এ তথ্য ইসিকে জানাতে হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর