× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনকালীন সরকার চলছে

প্রথম পাতা

বিশেষ প্রতিনিধি
১৩ নভেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার

নির্বাচনের শিডিউল ডিক্লেয়ারের (তফসিল ঘোষণা) পর থেকেই নির্বাচনকালীন সরকার শুরু হয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ কথা জানান। আগে বলা হয়েছিল এই সরকার রুটিন কাজ করবে, কোনো আইন অনুমোদন বা নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। মন্ত্রিসভা বৈঠকে একটি আইন কীভাবে পাস হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইন উঠতে পারে। সেটা সংসদে তো পাস হচ্ছে না, সংসদ তো নেই। আইন করতে বাধা নেই। মন্ত্রিসভা বৈঠক চলমান থাকবে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, এটা (আইন অনুমোদন) ক্যাবিনেটের কার্যক্রমের মধ্যেই পড়ে, এটাকে রুটিনই বলা যায়। কোনো উন্নয়ন প্রকল্প এগুলোকে স্পর্শ করে না।
আইন করা তো রেগুলার সরকারের কাজ- এ বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার তো রেগুলারই আছে, কোনো সমস্যা তো দেখছি না।

নির্বাচনকালীন সরকার এটা তো আমাদের দেয়া নামই, সাংবিধানিক নাম নয়। মন্ত্রিসভা রদবদলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে শফিউল আলম বলেন- না, এই রকম কোনো সংবাদ নেই, থাকলেও আপনাদের তো বলবোই। টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমাদের কাছে এখনো আসেনি। মন্ত্রিসভা বৈঠকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হ্যাঁ, উপস্থিত ছিলেন। কীসের ভিত্তিতে তারা উপস্থিত ছিলেন?- এর জবাবে তিনি বলেন, আমাদের যে কনস্টিটিউশন প্রভিশন (সংবিধানের বিধান) তাতে প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ একজন মন্ত্রী যদি ওনার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন, তবে তিনি মন্ত্রী থাকবেন। সাবমিশন (সংবিধান অনুযায়ী পদত্যাগপত্র উপস্থাপন বিষয়টি) হচ্ছে গেজেট নোটিফিকেশন হওয়া পর্যন্ত। ওনার পদত্যাগটা চূড়ান্ত হবে যখন গেজেট নোটিফিকেশন হবে। যেহেতু হয়নি, তাই তারা মন্ত্রী হিসেবে বহাল আছেন বলে গণ্য হবে। কবে নাগাদ পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে- এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা আমার বলার উপায় নেই।

এর আগে গত ৬ই নভেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য না হয়েও বিশেষ বিবেচনায় মন্ত্রী) মন্ত্রীদের পদত্যাগের নির্দেশ দেন। ওই দিনই বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে চার মন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর তারা আর দায়িত্বে নেই ধরে নিয়ে পরের দিন বুধবার সকাল নাগাদ চার মন্ত্রীর প্রায় সবাই অফিস না করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা গত ৮ই নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে আগামী ২৩শে ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান। এর মধ্যে রোববার বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেয়। একই সঙ্গে তারা নির্বাচন পেছানোরও দাবি জানায়। এর ভিত্তিতে গতকাল সিইসি ভোট গ্রহণের তারিখ এক সপ্তাহ পিছিয়ে ৩০শে ডিসেম্বর পুনঃনির্ধারণের ঘোষণা দিয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর