× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচন পেছানোর আর সুযোগ নেই : সিইসি

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৫ বছর আগে) নভেম্বর ১৩, ২০১৮, মঙ্গলবার, ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন

একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটের তারিখ পেছানোর আর কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। আজ মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্রিফিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৩০ তারিখ নির্বাচনের দিন নির্ধারিত হয়েছে। এরপর আর তারিখ পেছানোর সুযোগ নেই। প্রথম কারণ হলো জাতীয় পর্যায়ে এতো বড় একটি নির্বাচনের পর ২৯ তারিখই কিন্তু সংসদ বসতে হবে। ফলে এটি বড় মাপের সময় নয়। কারণ নির্বাচনের পর ফলাফল আসবে, এরপর গেজেট করা। এই তিনশ' আসনের গেজেট করার জন্য সময় লাগে। দ্বিতীয়ত হলো, টঙ্গীর ইজতেমা হবে জানুয়ারির ১১ তারিখে।
এটি আমাদের চিঠি দেয়া হয়েছে। এ সময় সারাদেশ থেকে আইশৃঙ্ঘলা বাহিনীর সদস্যদের আনতে হয়। যাতে কোন সহিংসতা না ঘটে।  
তিনি আরও বলেন, ৩০ তারিখও একটি যথেষ্ট সময় নয়, আরও সময় নেয়া দরকার ছিল। কিন্তু আমরা সেটি করতে পারিনি। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বড়দিনসহ বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে ২৩ তারিখ নির্বাচনের বিষয়টি পরিকল্পনা করা হয়। যেহেতু নির্বাচনে সবদল অংশ নিয়েছে,তাতে আমরা খুশি হয়েছি। কিন্তু ভোটের তারিখ আর পেছানোর সুযোগ নেই।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা দেশী-বিদেশী সকল স্তরের পর্যবেক্ষনে রয়েছেন। এ বছর নির্বাচনের পরিবেশ হবে ভিন্ন। আমাদের দেশে কখনো হয়েছে নির্বাচন হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাষিত নির্বাচন, কখনো সেনাবাহিনী, কখনো কেয়ারটেকারের অধীনে। কিন্তু অন্যান্য নির্বাচন থেকে এই নির্বাচন সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ সংসদ থেকে, সরকার থেকে এই নির্বাচন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৪ সালে এমন একটি নির্বাচন হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্বাচনে সব দল অংশ নেয়নি। আমরা সেজন্য আনন্দিত, যে এই নির্বাচনে সব দল অংশ নিতে যাচ্ছে। সে কারণে আপনাদের দায়িত্ব অনে বেড়ে গেছে।
এখন থেকে নির্বাচনের সকল দায়িত্ব রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উল্লেখ করে সিইসি বলেন, নির্বাচন হতে হবে সম্পূর্ণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। ভোট একটি উৎসব। ভোটের দিন ভোটাররা আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট দিতে যাবে। সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথ পালন করবে। ভোটের বুথ ছাড়া বাকি সব স্থানে পর্যবেক্ষকসহ সবাই যেতে পারবেন, এবং তা পর্যবেক্ষণ করতে পারেবন। যে নির্বাচন জনগণ গ্রহন করবেন, যে নির্বাচন নিয়ে সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য হবে- সেটিই হবে গ্রহনযোগ্য নির্বাচন। এই অবস্থা আপনাদের  (রিটার্নিং কর্মকর্তা) সৃষ্টি করতে হবে। এখন থেকে নির্বাচনের সকল দায়িত্ব আপনাদের। কিভাবে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ করবেন, ভোটকক্ষ তৈরী করবেন সব দায়িত্ব আপনাদের। সবাই আন্তরিকভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেন, তাহলে সামগ্রিকভাবে আমাদের উপর জনগণের সন্দেহ হবে না।
প্রার্থী এবং রাজনীতিবীদরা সম্মানিত ব্যক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকেই এমপি ছিলেন, অনেকে যারা এমপি ছিলেন না তারা এলাকায় সম্মনিত ব্যক্তি। তাদের সাথে যদি সুসম্পর্ক রাখেন, তাহলে কেউই নির্বাচনে সমস্যা সৃষ্টি করবেন না। তাদেরকে কখনো প্রতিপক্ষ হিসেবে নেবেন না। তাদের সহযোগীতা করলে তারাও আপনাদের সহযোগী, বন্ধু হিসেবে কাজ করবে। বিরোধীতা করবে না। নিরপেক্ষতা হবে একমাত্র মাপকাঠি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর