× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা বাম জোটের

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৪ নভেম্বর ২০১৮, বুধবার

নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। গতকাল জোটের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনে অংশ নেয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় জোটের কেন্দ্রীয় নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম বলেন, দেশের নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্রের অতীত অভিজ্ঞতা আমাদের আছে।

রাজনীতিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হলে ষড়যন্ত্রকারীরা উৎসাহিত হয়। ক্ষমতার খেলার অংশ হিসেবে, শাসকগোষ্ঠী আরো নানা ধরনের কূটকৌশল গ্রহণ করে। এবারও তার ব্যতিক্রম কিছু নয়। তাই নির্বাচন নিয়ে সরকারের সকল ষড়যন্ত্র রুখতেই, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনী সংগ্রামে অংশ নেবে বাম গণতান্ত্রিক জোট। তবে, নির্বাচনের মাঠে থাকা না থাকা নির্ভর করবে সরকারের আচরণ ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ডের ওপর।
তিনি বলেন, পুরো নির্বাচনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার পরই আমরা সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো। সংলাপ শেষে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন স্থগিত ও হঠাৎ তড়িঘড়ি করে তফসিল ঘোষণাকে সরকারের একতরফা নির্বাচনের ফাঁদ বলেও উল্লেখ করেছেন ৮টি বাম দলের এই নব নির্বাচিত সমন্বয়ক। তিনি বলেন, এই ফাঁদে পা না দিতেই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

সম্মেলনে জোটের অন্যতম সমন্বয়ক ও সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, নির্বাচনে অংশ নেয়া মানে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে মেনে নেয়া নয়। আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি শুধুমাত্র সংগ্রামের পদ্ধতিগত অংশ হিসেবে। ২০১৪ সালে নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তখন সেটা ছিল ‘নো’ নির্বাচন। আর এবারের নির্বাচন হচ্ছে ‘ব্যাড’ নির্বাচন। নির্বাচনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে আমাদের জোট। তেমন পরিস্থিতি দেখলে, নির্বাচন বর্জনও করতে পারি বলে জানান এই প্রবীণ বাম নেতা। তিনি বলেন, দেশবাসী কখনোই মনে করে না, বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। তাই এখন যে নির্বাচন হবে, তা অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে না। একটি ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন হবে।

নির্বাচনী আচরণবিধির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র কেনার সময়ই শোডাউন করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে সরকারি দল। আর মনোনয়নপত্র বিক্রিতে যে কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে, তাতে ভ্যাট আদায় করা হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান তিনি। এ সময় বাম জোটের নির্বাচনী কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাম জোটের প্রতিটি শরিক দল থেকে আলাদা আলাদাভাবে মনোনয়ন সংগ্রহ করবে প্রার্থীরা। এ বিষয়ে জোটের কেন্দ্রীয় ৪ সদস্য আবদুল্লাহ আল-কাফি রতন, বজলুর রশীদ ফিরোজ, আবদুস সাত্তার ও আকবর খানকে নিয়ে মনোনয়ন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। মনোনয়ন সংগ্রহের শেষ দিন ১৮ই নভেম্বর। এরপর জোটগত আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে প্রার্থী।

তবে এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, মো. শাহ আলম, সাইফুল হকসহ জোটের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নীতিনির্ধারণকারী বেশির ভাগ নেতা। কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে মাত্র ১৪ জন অংশ নেবেন ভোট যুদ্ধে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের আবদুস সাত্তার, বাসদ (মার্কসবাদী) এর  মানস নন্দী, গণসংহতি আন্দোলনের জুলহাস নাইন বাবু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের হামিদুল হক প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর