লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌর নন্দনপুর গ্রামে মঙ্গলবার বিকেলে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে সাতজন গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহতরা হলেন, জহির হোসেন মীর, আব্দুল বাকের, খুকি বেগম, সুমা আক্তার, কামাল হোসেন, নাছির উদ্দিন, রুবিনা আক্তার। তাদেরকে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই গ্রুপই রামগঞ্জ থানা পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছে।
সূত্রমতে জানা যায়, পৌর নন্দনপুর মৌজার ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন স্থানে সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত জহির হোসেন মীর গংদের সঙ্গে কামাল হোসেন আটিয়া গংদের পাল্টাপল্টি সাতটি মামলা চলে আসছে। কামাল হোসেন গং মঙ্গলবার দুপুর থেকে বির্তকিত সম্পত্তিতে টয়লেটের নির্মান কাজ শুরু করে। খবর পেয়ে জহির উদ্দিন মীর গং ঘটনাস্থলে পৌছালেই দুই গ্রুপের সংঘর্ষ শুরু হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুল বারেক মীর বলেন, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে স্থাপনা নির্মান কাজ করায় জহির হোসেন বাধা দেয়। এতে কামাল-নাছির গং লাঠি-সোঠা দিয়ে জহিরকে পিটিয়ে আহত করে। সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌছানো মাত্রই আমাদের উপর হামলা করে তারা।
প্রতিপক্ষ কামাল হোসেন বলেন, জহির হোসেন মীরের নেতৃত্বে ৭/৮ জনের গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সম্পত্তি দখল করে।
আমরা এতে বাধা দিলে তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র ও কাঠের টুকরো দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।
রামগঞ্জ থানার ওসি মো: তোতা মিয়া বলেন, সংঘর্ষের সংবাদে দায়িত্বরত এএসপি পংকজ কুমার দের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। দুই গ্রুপের দায়ের করা মামলা তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।