× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রয়টার্সের রিপোর্ট / আজ শুরু হচ্ছে না রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) নভেম্বর ১৫, ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন

পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন শুরু হচ্ছে না। এর সঙ্গে সরাসরি যুক্ত এমন দুটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে এ বিষয়ে সরকারি কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি। বুধবার দিনের শেষভাগে ওই দুটি সূত্র রয়টার্সকে এ তথ্য দিয়েছেন। তারা বিষয়টি স্পর্শকাতর বলে নাম প্রকাশ করতে চান নি। একটি সূত্র বলেছেন, যেহেতু কেউই (রোহিঙ্গা) ফেরত যেতে চাইছেন না, তাই এটা (প্রত্যাবর্তন) বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে না। সূত্র দুটি আরো বলেছেন, এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে নিশ্চিত ঘোষণা আসতে পারে। তৃতীয় একটি সূত্র বলেছেন, স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন নিয়ে বুধবার রাতে বৈঠকে বসে বাংলাদেশ সরকারের টাক্সফোর্স।
এই সূত্রটি বলেছেন, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার প্রায় ৪৮টি পরিবারের সাক্ষাতকার নিয়েছে। তারা তাদেরকে প্রত্যাবর্তন ইস্যুতে তাদের অসম্মতি জানিয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন ইস্যুতে অক্টোবরে একটি দ্বিপক্ষীয় পরিকল্পনায় সম্মত হয়। তারই প্রেক্ষিতে আজ রোহিঙ্গাদের প্রথম ব্যাচটি ফেরত পাঠানোর কথা। তবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কায় জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক এজেন্সি ও দাতা গ্রুপগুলো। এ জন্য তারা এই প্রত্যাবর্তন শুরু করার বিরোধিতা করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশও কাউকে জোর করে ফেরত পাঠানো হবে না বলে দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেছে। সরকার বলেছে, প্রথম ব্যাচে যাদের নাম রয়েছে তারা স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে চান। এ বিষয়টি নিশ্চিত হতে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেলে ব্যাচেলেট রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন পরিকল্পনা স্থগিত করার আহ্বান জানান বাংলাদেশের প্রতি। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হলে তাদের জীবন মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারে।  
আজ প্রথম দফায় সরকারিভাবে ২২০০ রোহিঙ্গার একটি দলকে ফেরত পাঠানোর কথা। অন্যদিকে মিয়ানমারের কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা এ জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। জাতিসংঘের হিসাব মতে, গত বছর মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর নৃশংস অভিযানে কমপক্ষে ৭ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এসব রোহিঙ্গা বলেছেন, সেনাবাহিনী ও স্থানীয় বৌদ্ধরা গণহত্যা চালিয়েছে। পুড়িয়ে দিয়েছে শত শত গ্রাম। একই সঙ্গে গণধর্ষণ করেছে তারা। এ জন্য জাতিসংঘের তদন্তকারীরা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘গণহত্যার উদ্দেশে হত্যাকান্ড’ ও জাতি নিধনের অভিযোগ এনেছে। এ অভিযোগের সবই অস্বীকার করেছে মিয়ানমার। তারা বলেছে, সেনাবাহিনী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর