ভারতের থানে এলাকায় বাংলাদেশী এক যুবতীকে ধর্ষণ করেছে দুই নরপিশাচ। এ অভিযোগে পুলিশ আটক করেছে দু’জনকে। তাদের একজন ওই যুবতীকে ভাল কাজ দেয়ার প্রলোভন দিয়ে মুম্বই নিয়ে যায়। তারপর তাকে বাধ্য করে দেহ ব্যবসায়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন মুম্বই মিরর। এতে বলা হয়, থানে’র ভিত্তালবাদী পুলিশ অভিযান চালিয়ে যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে তারা হলো রহিম শেখ ও মহেশ্বর যাদব। পুলিশ বলেছে, তারা মিলে ওই এলাকায় একটি দেহব্যবসার চক্র গড়ে তুলেছিল। বাংলাদেশে দরিদ্র, অভাবী নারীদের তারা ভাল কাজ দেয়ার প্রলোভন দিয়ে মুম্বই নিয়ে যায়।
তারপর কেড়ে নেয় তাদের পাসপোর্ট। বাধ্য করে দেহব্যবসায় নামতে। পুলিশ আরো বলেছে, বাংলাদেশী ওই ধর্ষিত যুবতীকে ভারতে নিয়ে যায় রহিশ শেখ। উলহাসনগরে যাদবের বাড়িতে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয় ওই যুবতীকে। সেখানেই পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করতে থাকে রহিম শেখ ও মহেশ্বর যাদব। তার পাসপোর্ট কেড়ে নিয়ে দেহব্যবসা করতে বাধ্য করে।
পুলিশ আরো বলেছে, অভিযুক্ত ওই দু’জন বাংলাদেশী ওই যুবতীকে নিয়ে যায় গ্রান্ট রোডে। সেখানে একটি পতিতালয়ে তাকে বিক্রি করে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের। তা টের পেয়ে যান ওই যুবতী। ফলে তিনি বুদ্ধি খাটান। তাদের কবল থেকে পালান।
এক পর্যায়ে ওই যুবতীকে বিপর্যস্ত অবস্থায় কল্যাণ স্টেশনে দেখতে পান জিআরপির একজন নারী কনস্টেবল শাকিলা বেগম। তখন ওই যুবতী বাংলাদেশে ফেরত আসার উপায় খুঁজছিলেন। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে তার সঙ্গে কথা বলেন শাকিলা বেগম। এ সময় তাকে সব কাহিনী খুলে বলেন ওই বাংলাদেশী যুবতী। শাকিলা সব শুনে তাকে নিয়ে যায় কল্যাণ জিআরপিতে। একটি ধর্ষণ মামলা নিবন্ধিত করান। এর নাম দেয়া হয়েছে জিরো এফআইআর। এটি পরে ভিত্তালনগর পুলিশ স্টেশনে স্থানান্তর করা হয়। এই পুলিশ স্টেশনের অধীনেই ওই ঘটনাগুলো ঘটেছে। এ পরিস্থিতিতে কল্যাণ স্টেশনেই রহিম শেখকে সনাক্ত করে পুলিশ এবং তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ বলেছে, তারা রহিম শেখের কাছ থেকে বাংলাদেশী ওই যুবতীর পাসপোর্ট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উদ্ধার করেছে।