সাইফ পাওয়ারটেকের অর্থায়নে ভালোই চলছিল প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ফুটবল। মহানগরী লীগ কমিটির আয়োজনে এসব টুর্নামেন্ট থেকে ফুটবলারও উঠে আসছিল বেশ। এসব লীগের স্পন্সর সাইফ পাওয়ারটেকের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করলেও ফেডারেশনের (বাফুফে) আওতাধীন মহানগরী ফুটবল লীগ কমিটি শুরু করতে পারেনি নতুন মৌসুমের কার্যক্রম। স্পন্সরের অভাবে সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলও। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের জন্য এখনো নতুন স্পন্সর খুঁজে পায়নি ফেডারেশন।
এ বছরের জুনে হঠাৎ যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এমপি অ্যান্ড সিলভার সঙ্গে বছরে এক মিলিয়ন ডলারের স্পন্সরশিপ চুক্তির খবরটি প্রকাশ করে ফুটবল ফেডারেশন। সিনিয়র সহসভাপতি জানিয়েছিলেন আড়াই লাখ ডলার অগ্রিম পাওয়ার কথাও। কিন্তু এরপর আর প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে সাড়া পাওয়া যায়নি।
ফেডারেশন কাপের পর এখন প্রিমিয়ার লীগের স্পন্সর নিয়েও দেখা দিয়েছে জটিলতা। যদিও বাফুফে বলছে লীগ শুরুর আগে স্পন্সর জটিলতা কেটে যাবে। নইলে নতুন স্পন্সর নিয়ে যথাসময়ে শুরু হবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ শুরু হলেও মহানগরী লীগ নিয়ে কোনো তথ্যই দিতে পারেনি বাফুফের কর্মকর্তারা। আর এ কারণে তিন লীগের ৪৮ ক্লাবের প্রায় বারো শ’ ফুটবলারের ভাগ্য এখন অনিশ্চয়তার মুখে।
এ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন সাইফ পাওয়ারটেকের কর্ণধার তরফদার রুহুল আমিন। তার দাবি দ্রুতই স্পন্সর জটিলতা সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করবে ফেডারেশন। সঙ্গে দ্রুত প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ লীগ চালুর অনুরোধও করেছেন তিনি। ফেডারেশন চাইলে ফুটবলের স্বার্থে যেকোনো সময় পৃষ্ঠপোষকতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন রুহুল আমিন। মহানগরী ফুটবল লীগ কমিটি লীগ আয়োজনে ব্যর্থ হলে তৃণমূলের ক্লাবগুলো নিয়ে আলাদা টুর্নামেন্ট আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে রাখেন এই ফুটবল সংগঠন। যেমনটি তিনি করছেন জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে। তাদের অর্থায়নে সারা দেশে চলছে তৃণমূলে ফুটবল বাছাই কার্যক্রম। যাদের নিয়ে শেখ কামাল অনূর্ধ্ব-২০ জাতীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা করার স্বপ্ন দেখছেন জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব তরফদার রুহুল আমিন।