× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বালাগঞ্জের পশ্চিমাঞ্চলে স্কুলের অভাবে শিক্ষাবঞ্চিত কোমলমতি শিশুরা

বাংলারজমিন

বালাগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি
১৭ নভেম্বর ২০১৮, শনিবার

বালাগঞ্জ উপজেলার অবহেলিত পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা কম থাকায় কোমলমতি শিশুরা মাধ্যমিক শিক্ষা অর্জনে বঞ্চিত হচ্ছেন। পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকার কথা থাকলেও প্রায় ২৩ কিলোমিটার দূরত্বের ঠিক মধ্যখানে রয়েছে একটিমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এছাড়া বিশাল দূরত্ব এবং জনসংখ্যার অনুপাতে যেখানে তিনটি বিদ্যালয় থাকার কথা সেখানে একটিমাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় দিয়ে এ অঞ্চলে মাধ্যমিক শিক্ষার চাহিদা পূরণ করাতো দূরের কথা বরং অপূর্ণতাই থেকে যাচ্ছে। এতে ক্রমেই ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ইউনিয়নের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নিত করার বিষয়ে আবেদন করা হলেও সেটিরও কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। স্থায়ীয়দের উদ্যোগে বিগত দিনে এই এলাকায় একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়, কিন্তু এক সময় সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। ওই বিদ্যালয়টির বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের হামছাপুর গ্রামে ‘হামছাপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়’ নামে এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রায় এক একর ভূমির উপর একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ৫-৬ বছর পর ১৯৯০ সালের দিকে সেটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা এবং ভবন সংকটের কারণে বিদ্যালয়টির অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়। তৎকালীন সময়ে স্কুলের জন্য নির্মাণাধীন ভবনের লিন্ডার-পিলারগুলো এখন কালের সাক্ষী হয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। বিদ্যালয়টি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে এই এলাকার মাধ্যমিক শিক্ষার প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। এতে পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়ন ও বোয়ালজুড় ইউনিয়নের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন। বিদ্যালয়টি চালু করার বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
হামছাপুর গ্রামের শাহ আলম সজিব, একই গ্রামের বিদ্যালয়ের ভূমিদাতা পরিবারের সদস্য ইয়াহিয়া সুজন ও মখদ্দুছ মিয়া বলেন, বিদ্যালয়টি চালু করার লক্ষ্যে আমরা চেষ্টা চালিয়ে আসছি, সরকারিভাবে সুযোগ-সুবিধা পেলে বিদ্যালয়টি দ্রুত চালু করা সম্ভব হবে। বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সৈয়দ আলী আসগর বলেন, এলাকাবাসীর উদ্যোগে বিগত দিনে প্রতিষ্ঠিত ‘হামছাপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি’ পুনঃপ্রতিষ্টিতকরণে এলাকাবাসীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এগিয়ে আসতে হবে। এই বিদ্যালয়টি চালু হলে এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীসহ পার্শ্ববর্তী রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের শিক্ষার্থীরাও উপকৃত হবেন। বালাগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়রা হামছাপুর গ্রামের বিদ্যালয়টি পুনরায় চালু করতে চাইলে পাঠদানের অনুমতি প্রদানসহ সাধ্যমত সহযোগিতা করা হবে। বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হক বলেন, হামছাপুর গ্রামের ওই বিদ্যালয়টি চালু করার বিষয়ে আলোচনা চলছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর