তাহিরপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ ২৫ জন আহত হয়েছে। গুরুতর ২ জনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ৬ জনকে তাহিরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহতরা উভয় পক্ষর হলেন- নিপেন্দ্র বর্মন (৫০), জিতেন্দ্র বর্মন (৪৫), অষ্টমী বর্মন (৩৫), নিয়তী বর্মন (৫০), দুলাল বর্মন (২২), শুভাষ বর্মন (১৮), শ্রীমতি বর্মন (৬৫), সুকুমার দাস। তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের ভুরাঘাট গ্রামের পিছনে শুক্রবার বিকালে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুরাঘাট গ্রামের জিতেন্দ্র বর্মন এবং একই গ্রামের রাজিন্দ্র ও অতুল বর্মনের লোকজনের মধ্যে গত দুর্গাপূজায় গ্রামের পূজামণ্ডপে ব্যানার টাঙানোকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে গ্রাম্য সালিশে স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য সুদাশু পালের মাধ্যমে জিতেন্দ্র দাসের লোকজন অতুল দাসের লোকজনের কাছে ক্ষমা চেয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়। ঘটনাটি সালিশে নিষ্পত্তির কিছুদিন পর জিতেন্দ্র দাসের লোকজন চুনখলা হাওর থেকে মাছ শিকার করে বাড়ি ফেরার পথে শুক্রবার দুপুরে ভুরাঘাট গ্রামের পিছনে অতুল বর্মনের লোকজন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জিতেন্দ্র দাসের ৭ জনকে গুরুতর আহত করে। পরে বিষয়টি জিতেন্দ্র বর্মনের লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এতে আরো আহত হয় জুয়েল দাস (১৮), বিমন দাস, রুবেল দাস, সেবক বর্মনসহ উভয়পক্ষের ২৫ জন। শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য সুদাশু পাল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত দুর্গাপূজা মণ্ডপে ব্যানার টাঙানোকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তিনি বলেন, বিষয়টি অনেক আগেই গ্রাম্য সালিশে নিষ্পত্তি হওয়ার পরও পুনরায় তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর বলেন, ভুরাঘাট গ্রামে সংঘষের্র একটি ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি, এ ব্যাপারে থানায় কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ করেনি।