কসবায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ সময় ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা রাতের এ ঘটনায় উপজেলা সদরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিন সন্ধ্যায় কসবা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করতে এক সভা হয়। সভায় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন রিমন ও পৌর ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি তাসরেক আলম জমিদারের মধ্যে চেয়ারে বসা নিয়া কথাকাটাকাটি হয়। পরে সাবেক ছাত্রলীগ প্রচার সম্পাদক শরীফুল ইসলাম তাসরেক আলমের পক্ষ নিয়ে আফজাল হোসেনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মনির হোসেন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেনের পক্ষ নেয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
বিষয়টি আইনমন্ত্রীর একান্ত সচিব রাশেদুল কাউছার ভূইয়া তাৎক্ষণিক মীমাংসা করে দিলেও মিটিং শেষে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন রিমনের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা হয়। পরে সংবাদ পেয়ে তাসরেক আলম ও শরীফুল ইসলামের লোকজন কসবা পৌর সুপার মার্কেটে আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে হামলা চালায়। এরপরই উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মনির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন তাদের দলবল নিয়ে পৌর সুপার মার্কেট এলাকায় পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় তারা পৌর সুপার মার্কেট চত্বরে আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয় এবং এর আসবাবপত্র ও শরীফুল ইসলামের একটি ফার্নিচারের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়।