× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দিনাজপুর-৪ আসনে মনোনয়ন দৌড়ে ৭ প্রার্থী

বাংলারজমিন

শাহ্‌ আলম শাহী, দিনাজপুর থেকে
১৭ নভেম্বর ২০১৮, শনিবার

দিনাজপুর-৪ আসনে ৭ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সংসদীয় আসন-৯ দিনাজপুর-৪ (চিরিরবন্দর-খানসামা) আসনে আওয়ামী লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি, সাবেক হুইপ মিজানুর রহমান মানু, ডা. এম আমজাদ হোসেন, তারিকুল ইসলাম তারিক ও অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামসহ ৫ জন, বিএনপি’র সাবেক এমপি আলহাজ আখতারুজ্জামান মিয়া ও মো. হাফিজুর রহমানসহ ২ জন প্রার্থী ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ এবং জমা দিয়েছেন। চূড়ান্ত মনোনয়ন পেতে  কেন্দ্রীয় সিনিয়র নেতাসহ মনোনয়ন বোর্ডের  নেতৃবৃন্দের কাছে লবিং করছেন অনেকেই। অনেকেই  কেন্দ্রের সবুজ সংকেতের জন্য সিনিয়র নেতাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন। এ মনোনয়ন প্রাপ্তি নিয়ে নিজ নিজ এলাকায় চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তৃণমূল নেতাসহ ও সাধারণ জনগণের মধ্যে এ নিয়ে চলছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা। চলছে, চায়ের কাপে ঝড়। তাদের মতো আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি জোটবদ্ধ নির্বাচন করলে বিএনপি’র ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী মাঠে সুবিধা করতে পারবেন না বলেও কেউ কেউ বলছেন।
আবার কেউ বলছেন, জামায়াতের বেশ দাপট রয়েছে এ আসনে। এ কারণে এ আসনটি বিএনপি উদ্ধার করতে পারে। এদের মধ্যে এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী পুনরায় মনোনয়ন প্রাপ্তির প্রত্যাশা করছেন। তার পক্ষে নেতা-কর্মীরা নিয়মিত দলীয় কর্মসূচি ছাড়াও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। দিনাজপুর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম মনোনয়ন প্রাপ্তির জন্য আশা করছেন। ইতিমধ্যে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন তিনি। অপরদিকে ২০ দলীয় জোটের ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মো: আখতারুজ্জামান মিয়া আবারও মনোনয়ন পেতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিএনপিতে তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তিনি এই আসনের বিভিন্ন হাটে-বাজারে প্রায় প্রতিদিন দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে থাকায়  নেতাকর্মীরা তার প্রতি বিশ্বস্ত রয়েছেন। এছাড়াও লুসাকা গ্রুপের চেয়ারম্যান শিল্পপতি মো. হাফিজুর রহমান দলীয় মনোনয়ন পেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে তার ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন। দন এলাকায় না থাকায় তার জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায়। একসময় এলাকায় সেমাই, চিনি, কাপড় দিয়ে বিএনপিসহ অন্যান্য দলের সুবিধাবাদী লোকজনকে তার পক্ষে টানলেও এখন সেই লোকগুলি সমাজে  হেয় হয়ে পড়েছে। তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর বাইরে অন্য কাউকে  মেনেই নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। এলাকার মুরব্বীরা জানান, বিএনপি’র আখতারুজ্জামান মিয়া ও আওয়ামী লীগের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর মধ্যেই নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। যে দলের হোক অন্য কোনো প্রার্থী মাঠে সুবিধা করতে পারবেন না।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। তৃণমূল নেতাদের সমর্থন পেতে এবং মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় নেতাদের আয়ত্ত করতে প্রার্থীরা ইতিমধ্যে নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন। অনেকেই কেন্দ্রের সবুজ সংকেতের জন্য সিনিয়র  নেতাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন।
এদের মধ্যে এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী পুনরায় মনোনয়ন প্রাপ্তির প্রত্যাশা করছেন। তার পক্ষে  নেতাকর্মীরা নিয়মিত দলীয় কর্মসূচি ছাড়াও তাদের সঙ্গে তিনি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।
অপরদিকে সাবেক হুইপ ও কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মিজানুর রহমান মানু নির্বাচনী আলোচনায় রয়েছেন। তিনিও নিয়মিত দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন।
এদিকে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে ২০০১ সালের নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য ও সংস্কারপন্থি  নেতা আলহাজ আখতারুজ্জামান মিয়া। তিনি ২০০৬ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ডাব মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে দল  থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়েন। তবে তিনি আবারও মনোনয়ন প্রাপ্তির আশায় মাঠে ময়দানে দৌড়ঝাঁপ করছেন।
অন্যদিকে ২০০৮ সালের এক সময়ের ধানের শীষ মার্কা ও পরে দেয়াল ঘড়ি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী শিল্পপতি মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ এবার প্রার্থী হতে পারেন বলেও নির্বাচনী আলোচনায় রয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর