বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর পাশে রয়েছেন শিক্ষক সমাজ। সাজুর প্রচেষ্টায় সম্প্রতি সারা দেশের বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বহুল কাঙ্ক্ষিত পাঁচ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখী ভাতা প্রদানের ঘোষণা দেয় সরকার। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে সারা দেশে আনন্দ শোভাযাত্রাও করেছেন শিক্ষকরা। শিক্ষক নেতাদের দাবি, সাজু সংসদে প্রতিনিধিত্ব করলে তাদের অধিকার আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি শাহজাহান আলম সাজু ইতিমধ্যে দলের মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। সাজু ছাড়াও এ আসনে আরো ১৯ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান। তবে শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে তার অবস্থান আলাদা বিবেচনা করছেন শিক্ষকরা। কেন্দ্রীয় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাশিপ) সাধারণ সম্পাদক সাজুকে মনোনয়ন দেয়ার দাবিতে ঢাকায় শিক্ষকসহ সর্বস্তরের নাগরিকদের অংশগ্রহণে নাগরিক সমাবেশও হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাশিপ) সভাপতি জয়নাল আবেদিন বলেন, অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষক কর্মচারীদের পেশাগত অধিকার এবং মর্যাদা আদায়ে খুবই সোচ্চার। জাতীয় সংসদে শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা তাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানাচ্ছি। আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি শাহজাহান বলেন, সংসদে আমাদের পক্ষে কথা বলার কেউ নেই। আমরা চাই সাজু শিক্ষকদের প্রতিনিধি হয়ে জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে আমাদের দাবি আদায়ের জন্য কথা বলুক। সাজুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অবসরে যাওয়া পরিমল ভৌমিক নামের এক শিক্ষক বলেন- ‘সাড়ে ২৭ বছরের শিক্ষকতা জীবনে দরিদ্র্যতা কি জিনিস সেটা বুঝিনি। কিন্তু ‘অবসর নেয়ার পর স্কুল ও সরকারি টাকা এবং টিউশনি বন্ধ হয়ে যায়। আমার পরিবারটা ডুবে যাচ্ছিল, ওনি আমার পরিবারকে রক্ষা করলেন। শিক্ষক পরিমল ভৌমিকের মতো বিপদগ্রস্ত অসংখ্য শিক্ষকের পাশে দাঁড়িয়েছেন শাহজাহান আলম সাজু। সেই শিক্ষক সমাজ এখন তার পাশে।
অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু বলেন, সরাইল-আশুগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি ঘরে-ঘরে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনার অনুরোধ জানিয়েছি। দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে আমি আসনটি নেত্রীকে উপহার দিতে পারবো।