× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মিয়ানমারে শতাধিক সন্দেহভাজন রোহিঙ্গা আটক

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) নভেম্বর ১৭, ২০১৮, শনিবার, ৯:৪৪ পূর্বাহ্ন

মিয়ানমারের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের উপকূল থেকে সন্দেহভাজন শতাধিক রোহিঙ্গাকে আটক করেছে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। ধারণা করা হচ্ছে, তারা সবাই নৌকায় চড়ে অন্য দেশে পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করছিল। আটকদের মধ্যে ৩১ জন নারী ও প্রায় ২৫ শিশুও রয়েছে। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
মিয়ানমারের অভিবাসন কর্মকর্তা ক্যাও হতে বলেন, নৌকাটির আরোহী ছিল ১০৬ জন রোহিঙ্গা। ইয়াঙ্গুন থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের উপকূলে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে কর্তৃপক্ষ। পরে তাদের আটক করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ক্যাও হতে বলেন, সম্ভবত তারা রাখাইন থেকে এসেছে।
পূর্ববর্তী বছরের ঘটনাগুলোর মতো এরাও মনে হয় রাখাইনের বাঙালি। মিয়ানমার প্রশাসন রাখাইনের রোহিঙ্গাদের বাঙালি বলে সম্বোধন করে। তাদের বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসী বলে মনে করে। ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেতা আয়ে মিয়া মিয়া মো আটক রোহিঙ্গাদের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। এতে দেখা গেছে, ভাসমান নৌকাটি মানুষে পরিপূর্ণ। তাদের নৌকা থেকে নামানো হচ্ছে। আর পুলিশ তাদের ওপর কড়া নজরদারি করছেন। তিনি লিখেছেন, আটকদের মধ্যে ৫০ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী ও ২৫ শিশু রয়েছে। এরা যে ধরনের নৌকার আরোহী ছিল, এগুলো সাধারণত রোহিঙ্গারা ভিন্নদেশে পাড়ি দিতে ব্যবহার করে।
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের কঠোর বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হয়। দীর্ঘদিন ধরেই রোহিঙ্গারা রাখাইনের অমানবিক জীবন ছেড়ে সমুদ্রপথে অন্য দেশে পালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য তারা নভেম্বর ও মার্চের সময়টিকে বেছে নেয়। কেননা এই সময়ে সাগর তুলনামূলক বেশি শান্ত থাকে। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় দীর্ঘ সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়ে তারা থাইল্যান্ড ও মালেশিয়ায় আশ্রয় নেয়। অধিক যাত্রী বহনের কারণে প্রায়ই এসব নৌকা দুর্ঘটনার শিকার হয়। জীবন রক্ষার পর্যাপ্ত উপকরণ না থাকায় এতে বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এ ছাড়া, মানব পাচারকারীদের হাতেও নিষ্ঠুরতার শিকার হন অনেক রোহিঙ্গা। ২০১৫ সালে থাইল্যান্ডের গভীর জঙ্গলে একাধিক গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায়। এর পেছনে পাচারকারীদের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। এরপর থেকে থাইল্যান্ড মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তবে, নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে আরেক প্রতিবেশী দেশ ইন্দোনেশিয়া। দেশটি বলেছে, তারা রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে সহায়তা করতে প্রস্তুত। দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকা উইডোডো বলেছেন, রাখাইনে সহায়ক পরিস্থিতি তৈরিতে মিয়ানমার সরকারকে সহায়তা করতে প্রস্তুত ইন্দোনেশিয়া। শুক্রবার সিঙ্গাপুরে আসিয়ান সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর