× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

৪র্থ আন্তর্জাতিক জনগণের স্বাস্থ্য সম্মেলনে বক্তারা /জনগণের স্বাস্থ্যসেবার বিষয়কে নির্বাচনী ইশতেহারে অগ্রাধিকার দিন

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
১৭ নভেম্বর ২০১৮, শনিবার

চতুর্থ আন্তর্জাতিক জনগণের স্বাস্থ্য সম্মেলনে বক্তারা আসন্ন নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বাস্থ্যসেবার বিষয়কে নির্বাচনী ইশতেহারে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল সাভারে ব্র্যাক-সিডিএম সেন্টারে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তারা এই আহ্বান জানান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা এবং সম্মেলন জাতীয় কমিটির চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদ। জনগণের স্বাস্থ্য আন্দোলন (পিএইচএম)- বাংলাদেশ এর উদ্যোগে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৭শ’ বিদেশিসহ বাংলাদেশ থেকে স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, চিকিৎসকবৃন্দসহ প্রায় ১,৫০০ প্রতিনিধি এই সম্মেলনে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক বলেন, একটি দেশের সমৃদ্ধি নির্ভর করে জনগণের গুণগত শিক্ষা, উন্নত শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য অবস্থার ওপর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের ৬৭ শতাংশ লোক অসংক্রামক রোগে মারা যায়। এ ছাড়া ১২ শতাংশ লোক ক্যানসার, ৩০ শতাংশ লোক হৃদরোগ, ৩ শতাংশ লোক ডায়াবেটিস এবং ১২ শতাংশ লোক অন্যান্য রোগে মারা যায়।
তিনি বলেন, এসব রোগের নির্ণয় এবং চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। আমাদের মতো উন্নয়শীল দেশের জনগণ কিভাবে এসব রোগ সৃষ্টি হয় তা সম্পর্কে সচেতন নয় এবং এর চিকিৎসা তাদের আয়ত্তের বাইরে। সরকারের একার পক্ষে এসব রোগ মোকাবিলা সম্ভব নয়। তাই জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম, পেশাজীবী, শিক্ষাবিদ, ধর্মীয় নেতা, বুদ্ধিজীবী সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে যাতে করে তৃণমূলের জনগণ এসব রোগ সম্পর্কে সচেতন হতে পারে। তিনি সরকারকে হতদরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের আহ্বান জানান। এ ছাড়া স্বাস্থ্য বিমা, চিকিৎসার জন্য সহজ শর্তে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদানের বিষয়েও জোর দেন।
স্যার ফজলে হোসেন আবেদ বলেন, জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে রাজনৈতিক উদ্যোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ২য় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ইউরোপে বিশেষ করে যুক্তরাজ্য এবং জার্মানিতে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার পরিধি বৃদ্ধিতে রাজনৈতিক উদ্যোগ ভূমিকা রেখেছিল। বাংলাদেশে সরকারের উদ্যোগে ১৯৮২ সালে জাতীয় ওষুধ নীতি প্রণয়নকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন। বলেন, বাংলাদেশে খুব শিগগিরই একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তিনি সব রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের স্বাস্থ্যসেবার বিষয়কে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানান। সাবেক তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছার পাশাপাশি, নাগরিক সমাজ, উন্নয়ন সংগঠন এবং সর্বোপরি জনগণকে সচেতন হওয়ার ওপর জোর দেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরপরই অনুষ্ঠিত প্লেনারি অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ব্রিজিত লায়ড, গ্লোবাল কো-অর্ডিনেটর, পিএইচএম। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ড. ইডোরাডো এসপিনোযা, স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী, এল সালভাডর। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডেভিড স্যান্ডারস, ওয়েস্টার্ন কেপ বিশ্ববিদ্যালয়, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং চায়রা বোডিনি অধ্যাপক বোলোনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ইতালি। সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিএইচএম- বাংলাদেশ এর চেয়ারপারসন জাকির হোসেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর