× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এপেক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাকযুদ্ধ

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) নভেম্বর ১৮, ২০১৮, রবিবার, ৯:১৪ পূর্বাহ্ন

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক জোট এপেকের সম্মেলনেও বাণিজ্য নিয়ে দু’দেশ পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতির কঠোর সমালোচনা করে বলেছেন, দেশটির এই নীতি বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিকে মলিন করে দিচ্ছে। তিনি মুক্ত বাজার নীতি অনুসরণ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। এর জবাবে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ওয়াশিংটন নিজেদের বাণিজ্য নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনবে না। এমনকি পেন্স আমদানিকৃত চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক দ্বিগুণ করার হুমকি দেন। শনিবার পাপুয়া নিউগিনিতে অনুষ্ঠিত এপেক সম্মেলনে তারা এসব কথা বলেন। জোটের সদস্য ২১ দেশের সরকার প্রধান ও প্রতিনিধিরা এবারের সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, শনিবার এপেক সম্মেলনে দেয়া বক্তৃতায় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণশীল বাণিজ্য নীতির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, কেউ নিজের দ্বার বন্ধ করা মানে বাকি বিশ্বের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। রক্ষণশীল ও একতরফা নীতির প্রতি ‘না’ বলার জন্য তিনি বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান। শি জিনপিং সতর্ক করে বলেন, এটা অদূরদর্শী নীতি যা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। এর পরেই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বক্তৃতা করেন। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, বেইজিং তাদের বাণিজ্য নীতি পরিবর্তন না করা পর্যন্ত বাণিজ্য নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনবে না ওয়াশিংটন। এ ছাড়া, আমদানিকৃত চীনা পণ্যের ওপর ইতিমধ্যেই আরোপিত শুল্কের পরিমাণ মার্কিন প্রশাসন দ্বিগুণ করতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। পেন্স বলেন, চীনের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষার জন্য আমরা সুচিন্তিতভাবে পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা ২৫০ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করেছি। এবং আমরা এই পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি করতে পারি। চীন নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন না আনলে যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য নীতি পরিবর্তন করবে না।
এ বছরের শুরু থেকেই চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে বিবাদ চলছে। এর প্রেক্ষিতে দুই দেশই পরস্পরের পণ্যের ওপর দফায় দফায় শুল্ক আরোপ করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাণিজ্য যুদ্ধে দু’দেশের পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে বিশ্ব অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ডনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই ওয়াশিংটন প্রকাশ্যে আমেরিকার স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে শুরু করেছে। কিন্তু ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিকে স্বার্থপর নীতি বলে মনে করে চীন। দেশটি বলেছে, দ্বিমুখী নীতি বা স্বার্থপর কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে বৈশ্বিক বাণিজ্য চলতে পারে না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর