× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জীবনে কম্পিউটার ব্যবহার না করেও জাপানের সাইবার নিরাপত্তামন্ত্রী, জানেন না ইউএসবি পোর্ট কি

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) নভেম্বর ১৮, ২০১৮, রবিবার, ১১:৪২ পূর্বাহ্ন

জাপানের নতুন সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইয়োশিতাকা সাকুরাদা জীবনে কখনো কম্পিউটার ব্যবহার করেন নি। এমন কি ইউএসবি পোর্ট কি জিনিস তিনি তাও জানেন না বলেই মনে হচ্ছে। তার এমন স্বকিারোক্তি নিয়ে জাপান ও বিশ্বজুড়ে হাসি মস্করা শুরু হয়েছে। নতুন ওই মন্ত্রী বলেছেন, তিনি প্রকৃতপক্ষেই কোনো কম্পিউটার ব্যবহার করবেন বলে মনে হচ্ছে না। তবে তার ওপর দেশের লাখ লাখ কম্পিউটার বা ইলেকট্রনিক ডিভাইসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব বর্তেছে। কিন্তু তিনি বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক পলিসি নির্ধারণ করবেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। আর তার নিজের জন্য যেসব লেখালেখি দরকার তা তার সহযোগিরাই কম্পিউটারে টাইপ করে দেবেন। উল্লেখ, মন্ত্রী ইয়োশিতাকা সাকুরাদা ২২ বছর ধরে জাপানের পার্লামেন্ট সদস্য।
কিন্তু এত বছরেও তিনি সরকারে এত গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হন নি। অর্থাৎ তাকে এর আগে মন্ত্রী বানানো হয় নি। এখন সেই স্বপ্ন যেন সত্য হয়েছে। মন্ত্রী হওয়ার ফলে তার দায়িত্বে এসেছে দুটি ইভেন্ট। তার একটি হলো সাইবার নিরাপত্তা ও ২০২০ টোকিও অলিম্পিক। আইনপ্রণেতাদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, আমার সহযোগিদের আমি নির্দেশনা দেই। তারাই লিখে দেয় সে মতো। তবে আমি নিজে কখনো কম্পিউটারে হাত দিই না। তবে আমি নিশ্চিত যে, আমাদের কাজে কোনো ত্রুটি হবে না।
তার কাছে পাওয়ার গ্রিড এবং মেলওয়্যার সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ইয়োশিতাকা সাকুরাদা বলেন, তিনি কখনো ইউএসবি ব্যবহার করেন নি। এ থেকে মনে হয়, তিনি ইউএসবি পোর্ট কি জিনিস তা জানেন না। তার এমন জবাবে পার্লামেন্ট সদস্যরা হাসিতে ফেটে পড়েন। এ বিষয়টি জাপানি মিডিয়ায় গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। পার্লামেন্টে এমন প্রশ্নোত্তর পর্ব সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে জাতীয় টিভিতে। জাপানে যেসব মন্ত্রীকে নিয়োগ দেয়া হয় তাদেরকে আগেভাগেই পার্লামেন্টে অতিরিক্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। এটা সেখানকার সব সময়ের রীতি। মাঝে মাঝে সেই উত্তর হয় আমলাদের ব্রিফিং নির্ভর। তাই যখন ইয়োশিতাকা সাকুরাদাকে প্রশ্ন করা হচ্ছিল তখন সরকারি আমলাদেরকে দেখা যায় তার দিকে দ্রুতগতিতে তথ্য সম্বলিত কাগজপত্র এগিয়ে দিচ্ছেন।
গত মাসে মন্ত্রীপরিষদে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে যখন রদবদল করেন তখন তিনি বেছে নেন ইয়োশিতাকা সাকুরাদাকে। আর এখন তাকে নিয়েই শিনজো আবে পড়েছেন বিব্রতকর অবস্থায়।
ইয়োশিতাকা সাকুরাদার বয়স ৬৮ বছর। তিনি মেইজি ইউনিভার্সিটি থেকে সম্পন্ন করেছেন গ্রাজুয়েশন। ১৯৯৬ সালে তিনি প্রথমবার পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি রাজধানী টোকিওর কাছে চিবা এলাকার প্রতিনিধিত্ব করছেন। তার জনপ্রিয় ইস্যুগুলোর মধ্যে রয়েছে জাপারে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও সংস্কৃতিকে সমর্থন দেয়া।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর