× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

তিনদিনের উৎসবে লোকসুরের তরঙ্গে আলোড়িত দর্শক

বিনোদন

স্টাফ রিপোর্টার
১৯ নভেম্বর ২০১৮, সোমবার

বাঙালি জাতির হাজার বছরের বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক লোকসংগীত। এ সংগীতের তাল, লয় ও ছন্দের অপূর্ব সংমিশ্রণে খুঁজে পাওয়া যায় আত্মার শান্তি। আর সে শান্তি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে গেল তিন বছর ধরে আয়োজিত হয়ে আসছে আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসব। সান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবার হয়ে গেল এ উৎসবের চতুর্থ আসর। ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে গত ১৫ই নভেম্বর শুরু হয়ে এ আয়োজন শেষ হয় ১৭ই নভেম্বর। উৎসবের প্রতিদিনই স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শক লোকসুরের তরঙ্গে আলোড়িত হয়েছে দারুণভাবে। আয়োজনের প্রথম দিন ১৫ই নভেম্বর সন্ধ্যায় জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনের পর গান পরিবেশন করেন বাংলাদেশের সংগীতশিল্পী আবদুল হাই দেওয়ান, পোল্যান্ডের জনপ্রিয় ব্যান্ড দিকান্দার, ভারতের বিখ্যাত শিল্পী যুগল ওয়াদালি ব্রাদার্স, ভারতের সংগীতশিল্পী সাত্যকি ব্যানার্জি। এ ছাড়া বাংলাদেশের সামিনা হোসেন প্রেমার নৃত্যদল ‘ভাবনা’র পরিবেশনায় ছিল তিনটি নৃত্য।
১৬ই নভেম্বর উৎসবের দ্বিতীয় দিন লোকসংগীতের সুরের আলোয় মঞ্চ আলোকিত করেছেন বাংলাদেশের মমতাজ ও প্রথমবারের মতো রাজশাহীর ফোকব্যান্ড স্বরব্যঞ্জো এবং আন্তর্জাতিক শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন ভারতের বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ফোক ঘরানার শিল্পী রাঘু দীক্ষিত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘তেহানো মিউজিক’-এ অনুপ্রাণিত গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী দল লস্‌ টেক্সমেনিয়াক্স ও বাহরাইনের ফিউশন ব্যান্ড মাজায। তাদের পরিবেশনায় উঠে আসে ভিন্ন ধাঁচের লোকসংগীতের বহুমাত্রিক মনোমুগ্ধকর সুরের ধারা। ১৭ই নভেম্বর উৎসবের শেষ দিন সংগীত পরিবেশন করেন পাকিস্তানের সংগীতশিল্পী শাফকাত আমানত আলী, স্পেনের লাস মিগাস, বাংলাদেশের বাউল কবির শাহ, অর্নব ও নকশিকাঁথা। নিজেদের লোকসংগীতে দর্শকদের মুগ্ধ করেন তারা। উৎসবের প্রতিদিনই বিকাল থেকে স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে দর্শকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিদিনই সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হয় অনুষ্ঠান। চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। এবার বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৭টি দেশ থেকে জনপ্রিয় লোকশিল্পীরা জড়ো হয়েছিলেন একই মঞ্চে। প্রতিবারের মতো এবারও দর্শকরা বিনামূল্যে শুধু অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সরাসরি উপভোগ করেছেন। অনুষ্ঠানটির টেলিভিশন সমপ্রচারের দায়িত্বে ছিল মাছরাঙা টিভি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর