আদালতে হাজিরার সময় নিরাপত্তা চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে আবেদন করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ. ন. ম. এহসানুল হক মিলন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর একটি চিঠিতে তিনি এ আবেদন জানান। গতকাল রোববার বিকালে আত্মগোপনে থাকা মিলনের স্বাক্ষরিত চিঠিটি ইসিতে নিয়ে যান তার স্ত্রী নাজমুন নাহার বেবী। চিঠিতে এহসানুল হক মিলন লিখেছেন, দীর্ঘ দিন বিদেশে অবস্থানের কারণে আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলাসমূহে হাজিরা দিতে ব্যর্থ হই। তবে সমপ্রতি দেশে ফিরে আদালতে হাজিরা দেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হই। কারণ হিসেবে তিনি তার নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুরের বাড়ি ও আদালত প্রাঙ্গণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতি তৎপরতাকে দায়ী করেন। চিঠিতে মিলন আরো বলেন, একাধিক বিশ্বস্ত সূত্রে নিশ্চিত হতে পেরেছি যে, পুলিশ আমাকে আদালতে হাজির হওয়ার সুযোগ না দিয়ে বাইরে থেকে গ্রেপ্তার, অতঃপর নতুন নতুন মিথ্যা মামলা দিয়ে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনের লক্ষ্যে এমন ত্রাসের পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। যেহেতু নির্বাচনী আইন অনুযায়ী বর্তমান পুলিশসহ সমগ্র প্রশাসন ইসির নিয়ন্ত্রণাধীন, সে কারণে আমাকে ঘিরে পুলিশ প্রশাসনে এহেন বেআইনি তৎপরতা বন্ধে ইসির হস্তক্ষেপ কামনা করছি। পরে নাজমুন নাহার বেবী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আদালতে যেতে চাই। কিন্তু যেতে পারছি না। চাঁদপুর আদালত এলাকা পুলিশ ও ডিবি সদস্যরা ঘিরে রেখেছে। বোরকা পরে কোনো মহিলা আদালতে গেলেও তার মুখোশ খুলে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। তবে প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পরও তার সঙ্গে দেখা করা সম্ভব হয়নি। পরে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানমের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানিয়েছি। তারা দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।