সাত দিনের বিরতি শেষে আজ সেমিফাইনাল দিয়ে আবার মাঠে গড়াচ্ছে ফেডারেশন কাপ ফুটবল। প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি আবাহনী ও শেখ জামাল। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হবে বিকাল ৫টায়। খেলাটি সরাসরি সমপ্রচার করবে চ্যানেল নাইন। আগামীকাল দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নবাগত বসুন্ধরা কিংসের মুখোমুখি হবে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।
দুই বছর আগে ফেডারেশন কাপ ফুটবলের হ্যাটট্রিক শিরোপার হাতছানি ছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সামনে। তাদের সে স্বপ্ন ভেঙে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে আরামবাগের কাছে হেরে। গত আসরেও ফাইনালমঞ্চে ওঠা হয়নি তাদের, বিদায় নেয় আবাহনীর কাছে সেমিফাইনালে হেরে।
৩ বারের চ্যাম্পিয়ন দলটির ফাইনালে ওঠার পথে এবারো বাধা সেই আবাহনী। অপরদিকে ফেডারেশন কাপে এবার হ্যাটট্রিক শিরোপার হাতছানি ঢাকা আবাহনীর। শেষ দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন আকাশি-হলুদরা আর দুটি ম্যাচ জিতলেই দুই হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের নতুন রেকর্ড গড়বে। ১০ বারের চ্যাম্পিয়নদের সেই স্বপ্নের পথে বাধা শেখ জামাল, যে দলটি দুই বছর আগে হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের স্বপ্নভঙ্গের বেদনা নিয়ে ঘরে ফিরেছিল। শেখ জামাল অপরাজিত থেকেই উঠেছে সেমিফাইনালে। গ্রুপ পর্বে তারা নোফেল এসসিকে ২-১ গোলে হারিয়ে পরের দুই ম্যাচ ড্র করে বসুন্ধরা কিংস ও মোহামেডানের সঙ্গে ১-১ গোলে। কোয়ার্টার ফাইনালে তারা সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে হারায় ২-১ গোলে। তিন দলের গ্রুপে থাকায় আবাহনী খেলেছে দুই ম্যাচ। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফেডারেশন কাপ শুরু করা আবাহনী দ্বিতীয় ম্যাচে হার দেখে শেখ রাসেলের কাছে ১-০ গোলে। কোয়ার্টার ফাইনালে আবাহনী ৩-২ গোলে হারায় আরামবাগকে।
শক্তির বিচারে আবাহনীর চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও তাদের সাফল্যের মূলে শেখ জামাল ধানমন্ডির তারুণ্য। নাইজেরিয়ান কোচ জোসেফ আফুসির অধীনে তারুণ্য নির্ভর শেখ জামাল খেলছেও দারুণ। এই তারুণ্যকেই ঐতিহ্য দিয়ে মোকাবিলা করার কথা জানান প্রথমবারের মতো ঢাকা আবাহনীর ডাগ আউটে দাঁড়ানো জাকারিয়া বাবু। এবারের মৌসুমে ডাগ আউটে লড়াই চলছে দেশি-বিদেশি কোচদেরও। এই ম্যাচে আবাহনীর সাফল্যের সঙ্গে নিজেকেও নতুনভাবে প্রমাণ করার লক্ষ্য কোচের, ‘দেশি-বিদেশি কোচদের লড়াই থাকবে। আমরাও চাইব নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করার। আর আবাহনীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে চাই। এই ক্লাবটির জন্ম হয়েছে চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য। আমি চাই এই ধারাবাহিকতা থাকুক, দলটি একের পর এক শিরোপা জিতুক।’ আফুসি চাইছেন গ্রুপ পর্বের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সেমিফাইনালে আবাহনীকে হারাতে। এখন দেখা যাক দেশি-বিদেশি এই দুই কোচের লড়াইয়ে শেষ হাসিটা কে হাসেন।