সাঁথিয়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে ৩ দিন ধরে অনশন শুরু করেছে এক প্রেমিকা। সে ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি বেসরকারি কলেজের ডিগ্রি ২য় বর্ষের ছাত্রী। শুক্রবার রাত ১০টা থেকে সাঁথিয়া পৌরসভাধীন শালঘর গ্রামের জুলমত প্রামানিকের ছেলে প্রেমিক আল আমিনের বাড়িতে অনশন শুরু করে সাথি (২৩)। সরজমিন প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে প্রেমিকা সাথির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৩ বছর আগে প্রেমিক আল-আমিনের সঙ্গে ওই কলেজ ছাত্রীর পরিচয় হয়। আল-আমিন ওই সময়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তো পাশাপাশি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতো। বর্তমানে সে রাজশাহীতে সরকারি চাকরি করে। পরিচয় থেকে তাদের অবাধে মেলামেশা শুরু হয়। জানা গেছে, ওই কলেজছাত্রীর প্রবাসী একটি ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়।
বিয়ের ২ মাস পর ওই প্রবাসী স্বামী বিদেশ চলে গেলে আল-আমিনের কথায় তাকে তালাক দেয় সাথি। এমতাবস্থায় একপর্যায়ে মেয়েটি বিয়ের জন্য আল-আমিনকে চাপ দিলে গত ১৬ই নভেম্বর শুক্রবার বিয়ের জন্য আলামিন ঢাকা কাজী অফিসে আসতে বলে মেয়েটিকে। মেয়েটি সময়মতো কাজী অফিসে অপেক্ষা করলেও লম্পট প্রেমিক তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। মেয়েটি উপায় না দেখে পাবনার সাঁথিয়ায় প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছে। এ সময় লম্পট প্রেমিকের পরিবার মেয়েটিকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তাকে
বেদম মারপিট করে প্রেমিকের মা ও স্বজনেরা। এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আলহাজ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। এ ব্যাপারে সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল খালেক লালকে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য বলেছি। নিরাপত্তার জন্য মেয়েটিকে তার বাবার বাড়িতে যেতে পরামর্শ দিয়েছি।