× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খাগড়াছড়িতে মনোনয়ন নিয়ে টেনশনে আওয়ামী লীগ নেতারা

বাংলারজমিন

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
১৯ নভেম্বর ২০১৮, সোমবার

দলীয় মনোনয়ন নিয়ে টেনশনে আছেন খাগড়াছড়ি ২৯৮ নম্বর আসনের আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট সাবেক ও বর্তমান এমপি, প্রতিমন্ত্রীসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। এরা হলেন, খাগড়াছড়ি ২৯৮ নম্বর আসনের বর্তমান সাংসদ ও ট্রাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা, সাবেক সাংসদ ও ট্রাস্কফোর্স চেয়ারম্যান যতীন্দ্রলাল ত্রিপুরা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সমীর দত্ত চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য তরুণ নেতা ভবেশ্বর রোয়াজা নিকি (নিকি রোয়াজা)। দলীয় মনোনয়ন অনিশ্চয়তা থেকে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট সাবেক ও বর্তমান এই নেতারা। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি আসনে প্রার্থিতা নিয়েই তাদের এই দুশ্চিন্তা। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এই আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থীদের টেনশনের কারণ তৃণমূল নেতাকর্মীদের দ্বন্দ্ব। নির্বাচনকে ঘিরে এ দ্বন্দ্ব আরো বৃদ্ধিও পেতে পারে এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। কারণ পাওয়া না পাওয়ার ক্ষোভ অনেকের মধ্যেই আছে।
কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না এই আসন থেকে কাকে মনোনয়ন দেবে দল। এ নিয়ে মাঠপর্যায়ে অস্থিরতা রয়েছে। কেউ কেউ বর্তমান সাংসদকে এগিয়ে রাখলেও নতুনরা হেভিওয়েট হওয়ায় দুশ্চিন্তায় আছেন তারা। সেই সঙ্গে নতুনদেরও এগিয়ে রাখছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তবে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়ই থাকতে হবে সবাইকে।
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ পরিচালিত হচ্ছে দুটি কার্যালয় থেকে। এখানকার দু’পক্ষের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে জেলার সবগুলো উপজেলা ও ইউনিয়নে। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের দ্বন্দ্ব বহুদিনের। এখন এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা। অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. জাহেদুল আলম। দু’পক্ষের এই দুই নেতার আলাদা কার্যালয় থেকে দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।
জেলা আওয়ামী লীগের মূল কার্যালয় নিজেদের দখলে রেখে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত করছেন জাহেদুল আলম ও তার অনুসারীরা। আর শহরের কদমতলীস্থ এমপির বাসভবন সংলগ্ন্ন অস্থায়ী কার্যালয় থেকে দলীয় কমান্ড পরিচালনা করছেন কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা এমপি ও তার অনুসারীরা। এদিকে খাগড়াছড়ি জেলায় আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতারা দুই ধারা বজায় রাখলেও খাগড়াছড়ি জেলায় গ্রুপিংয়ে নতুন মেরুকরণ ঘটেছে। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, এ আসনে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়েছিল স্থানীয় সরকার নির্বাচনে। সর্বশেষ ২০১৫ সালের পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ দ্বন্দ্ব সংঘাতে রূপ নেয়। এ দ্বন্দ্ব নিয়েই আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা গণসংযোগের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে লবিং করছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে মোট ১০ জন দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সংগ্রহকারীরা হলেন, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মংসাপ্রু চৌধুরী অপু, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক জুয়েল চাকমা, আওয়ামী লীগ নেতা তাপস ত্রিপুরা ও বাসন্তী চাকমা। উৎসবের আমেজে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেন প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান আর দ্বন্দ্ব ছাপিয়ে সকল নমিনেশন প্রত্যাশী প্রার্থীর লক্ষ একটাই- নৌকার বিজয়। তাই খাগড়াছড়ির প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এখন উৎসবের আমেজ। সব মিলিয়ে খাগড়াছড়ির পাহাড়ে এখন যেন নতুন আনন্দের আমেজ। মনোনয়ন চূড়ান্ত হলেই কে হচ্ছেন খাগড়াছড়ির নৌকার মাঝি তা বুঝা যাবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর