মাউশির (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর) মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছেন নায়েম (জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির) মহাপরিচালক প্রফেসর সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। শূন্য হওয়া নায়েমের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) পরিচালক প্রফেসর আহম্মেদ সাজ্জাদ রশিদ। ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে ডিআইএ’র পরিচালক পদে পদায়ন করা হয়েছে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর এ ধরনের বদলি করা যায় কী এমন প্রশ্নে শিক্ষা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, এমন বদলি হয়, শূন্য হওয়া পদে পদায়ন করা হয়েছে। মাউশির মহাপরিচালকের মৃত্যুর পর তার পদটি শূন্য হয়। এ পদের পদায়ন করতে গিয়ে অন্য নায়েমের পদ শূন্য হয়। নায়েমের শূন্যপদ পূরণ করতে গিয়ে ডিআইএ পদটি শূন্য হয়। তাই এটিকে নতুন পদায়ন বলা যাবে না।
গতকাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ফাতেম তুল জান্নাত স্বাক্ষরিত আদেশে তিন শর্তে প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুককে পদায়ন করা হয়েছে। শর্তগুলো হলো- এ চলতি পদে দায়িত্ব কোনো পদোন্নতি নয়, চলতি দায়িত্ব প্রদানের কারণে তিনি পদোন্নতি দাবি করতে পারবেন না, সংশ্লিষ্ট পদে নিয়মিত পদোন্নতির মাধ্যমে কর্মকর্তা নিয়োগ করা হলে এ চলতি দায়িত্বের আদেশটি বাতিল বলে গণ্য হবে। মহাপরিচালকের পদটি ১ম গ্রেডের। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে ১ম গ্রেডের কোনো পদ না থাকায় এসএসবি করে মহাপরিচালক নিয়োগের সুযোগ না থাকায় চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩রা নভেম্বর প্রফেসর মো. মাহাবুবুর রহমান ইন্তেকাল করায় পদটি শূন্য হয়। তাকেও মাউশির ডিজি পদে চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। মন্ত্রণালয়ের অপর এক আদেশে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) পরিচালক প্রফেসর আহাম্মেদ সাজ্জাদ রশীদকে নায়েমের মহাপরিচালক ও ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে ডিআইএ’র পরিচালক পদে পদায়ন করা হয়েছে। প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুককে গত ২০শে ফেব্রুয়ারি নায়েম (জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি) এর মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। নায়েমে যোগদানের আগে তিনি মাউশির চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৯৯৩ সালে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে ১০ শতাংশ কোটায় ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০৬ সালে তিনি প্রফেসর হিসেবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে তিনি ৩য় গ্রেড লাভ করেন। দীর্ঘ সরকারি চাকরি জীবনে তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি কলেজে শিক্ষকতার পাশাপাশি লিয়েনে সৌদি আরবে কিং খালিদ বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ইংরেজির অধ্যাপক হিসেবে চাকরি করেছেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত ভাষা বিজ্ঞান ও ইংরেজি ভাষা শিক্ষাদান-এর ওপর পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।