× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আজ শেষ হচ্ছে আয়কর মেলা

দেশ বিদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৯ নভেম্বর ২০১৮, সোমবার

রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলা শেষ হচ্ছে আজ। গতকাল মেলার ষষ্ঠদিনও ছিল উপচে পড়া ভিড়। এতে তরুণদের ছিল সরব উপস্থিতি। মেলায় এসে অধিকাংশ করদাতা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সেবায়। তবে করদাতাদের দাবি আয়কর মেলায় যত সেবা পাওয়া যায় তার অধিকাংশ সেবা মেলে না প্রতিষ্ঠানটির কর অফিসগুলোতে। এদিকে সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলার ষষ্ঠ দিন পর্যন্ত কর আদায় হয়েছে ১ হাজার ৮৯৯ কোটি ৩৯ লাখ ১৬ হাজার টাকা। যেখানে প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ। ২০১৭ সালের একই সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১ হাজার ৭৯১ কোটি ১২ লাখ ৭৩ হাজার ৩১০ টাকা।
এ সময়ে মেলায় সেবা নিয়েছেন ১৩ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৯ জন, রিটার্ন দাখিল করেছেন ৪ লাখ ১২ হাজার ১৯৬ জন এবং নতুন ইটিআইএন নিয়েছেন ৩২ হাজার ১০ জন করদাতা। মেলায় আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে আসা নেসলে বাংলাদেশের কর্মকর্তা সুরাইয়া সুলতানা বলেন, আমি দুই বছর ধরে আয়কর রিটার্ন দাখিল করছি। গতবছর আমি সার্কেল অফিসে গিয়ে করি, কিন্তু এবার উৎসবের আমেজ নিতে মেলায় চলে আসলাম। মেলায় এসে আমার ভালোই লেগেছে। ব্যাংকসহ সকল সুবিধা এক সঙ্গেই পেয়েছি। সঙ্গে উপহার। আগামীতেও আমি মেলায় এসে রিটার্ন দাখিল করতে চাই। একটি গ্রুপের কর্মকর্তা মেলার সুবিধা তুলে ধরে বলেন, সার্কেল অফিসগুলোতে কর দিতে গেলে পে-অর্ডারের জন্য ব্যাংকের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাসহ নানা ধরনের ঝামেলা তৈরি হয়। কিন্তু মেলায় টাকা বা চেক যে কোনোটাই দেয়া যায়। মেলায় সবকিছুই এক সঙ্গে করা যায় বলে আমি মেলায় এসে কর দিই।
আয়কর মেলায় সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও অন্য পেশাজীবীদেরও মেলায় আসতে দেখা গেছে। উত্তরা থেকে আসা নুরুল ইসলাম নামে একজন বলেন, ট্যাক্স সার্টিফিকেট যদি অনলাইনে পাওয়ার ব্যবস্থা থাকতো তাহলে ব্যক্তি খাতে আয়কর দেয়ার প্রবণতা আরো বৃদ্ধি পেতো। কারণ অফিসে গেলে টেবিলে টেবিলে বকশিশ দিতে হয় আমাদের। যেটা আয়কর মেলায় নেই। তিনি বলেন, স্ত্রীর জন্য আজ অফিস থেকে এক বেলা ছুটি নিয়ে মেলায় এসেছি। প্রতি বছর মেলার জন্য অপেক্ষা করি রিটার্ন জমা দেয়ার জন্য। কারণ অফিসে গেলে অনেক ঝক্কি ও হয়রানি পোহাতে হয়। তাই মেলায় এসে রিটার্ন জমা দিই। মেলা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন কর অঞ্চলের রিটার্ন গ্রহণ বুথ, হেল্প ডেস্ক, ব্যাংকের বুথ, ই-পেমেন্ট বুথ, ই-টিআইএন বুথসহ সব বুথে করদাতাদের মোটামুটি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে। তবে আজ সময় কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।
মেলার সমন্বয়ক ও এনবিআর সদস্য জিয়া উদ্দিন মাহমুদ বলেন, মেলায় করদাতাদের সেবা নেয়া, নিবন্ধন নেয়া ও রিটার্ন জমা দেয়ার ধারা অব্যাহত রয়েছে। কোনো সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গেই মিলছে সমাধান। ট্যাক্স সার্টিফিকেট দেয়ার বিষয়টি একটু জটিলতা রয়েছে। এটা নিয়ে ভবিষ্যতে ভাবা যেতে পারে। এর আগে মেলার পঞ্চম দিন রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৯০ কোটি ৫২ লাখ ৯৩ হাজার ৭০৮ টাকা। যা ২০১৭ সালের ওই সময়ে আয়কর মেলার চেয়ে ১৮ কোটি ৬৫ লাখ ৮১ হাজার ১৬ টাকা বেশি। প্রবৃদ্ধি ৬.৮৬ শতাংশ। চতুর্থ দিনে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২৫৩ কোটি ১৫ লাখ ৮১ হাজার ৫৪০ টাকা। ৩য় দিনে ২৪৪ কোটি ৮২ লাখ ২৬৯ হাজার ৮৩৩ টাকা, দ্বিতীয় দিনে ৫৫১ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার ৩৯৮ টাকা এবং প্রথম দিনে মোট আয়কর আদায় করা হয় ২১৮ কোটি ৪২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৮ টাকা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর