আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা তো শুনেছি এই নির্বাচনের জন্য অ্যালায়েন্স ফর্ম করে বিএনপি লেজেগোবরের মধ্যে আছে। তারা এখন কাকে কোথায় দেবে, কে সংস্কারবাদী, আমরা মাঠে ছিলাম আমরা কেন পাবো না, তাদের মধ্যে রোজ রোজ ঝগড়া চলছে। জগাখিচুড়ি ঐক্যফ্রন্ট, লেজেগোবরে ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন। এ সময় বিএনপি আমলে বোমা হামলায় নিহত সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রেজা কিবরিয়া ধানের শীষে যাওয়াতে আমাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। তিনি কেন ধানের শীষে তা তাকেই জিজ্ঞাসা করুন। ওবায়দুল কাদের বলেন, যেমন ড. কামাল হোসেন আমাদের ছিলেন, যেমন সুলতান মনসুর আমাদের ছিলেন, যেমন মাহমুদুর রহমান মান্না আমাদের ছিলেন, যেমন আ স ম আব্দুর রব ছিয়ানব্বইয়ে মন্ত্রিসভায় একসঙ্গে ছিলাম, যেমন কাদের সিদ্দিকী আমাদের সঙ্গে ছিলেন, এখন ধানের শীষে। ঠিক সেই রকম।
আওয়ামী লীগের মনোনয়নের বাইরে যারা বিদ্রোহ করছেন তাদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, বিদ্রোহ করলে খবর আছে। একদম হি অর সি উইল বি এক্সপেল্ড ফর লাইফ। তিনি বলেন, আমাদের মনোনয়ন প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন অ্যালায়েন্সের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। তারা তালিকা দিচ্ছেন। আগামীকালের (সোমবার) মধ্যে সেটা হয়ে যাবে। তারপরে আনুষ্ঠানিকভাবে বসতে পারি। তখন পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করবো, আরো ৪-৫ দিন সময় লাগবে। একসঙ্গে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা মনোনয়নটা দিয়েছি জরিপ রিপোর্টের ওপর বেজ করে। জরিপ রিপোর্টে যাদের অবস্থা খারাপ ছিল তারা ইমপ্রুভ করেছে। সার্ভে রিপোর্টে যারা যারা এগিয়ে আছেন তাদের মনোনয়ন দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন মুখও আসছে, পুরান মুখও থাকছে। নবীন-প্রবীণ মিলে মনোনয়ন পাচ্ছে। সব তো আমাদের থাকবে না, ১৪ দল আছে, জাতীয় পার্টি আছে, যুক্তফ্রন্ট আছে, কিছু ইসলামী দল আছে। তারাও আমাদের জোটের পার্টনার। শরিক দলকে কতটি আসন দেয়া হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী যেটা অ্যাসেসমেন্ট করে বলেছেন, ৬৫-৭০টি। যদি এর মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে উইন এবং ইলেক্টবল প্রার্থী কম থাকলে সেটা আমরা অবশ্যই বিবেচনা করবো। আমরাও আমাদের যারা ইলেক্টবল না তাদেরকে বাদ দিতে দ্বিধা করবো না। যুক্তফ্রন্ট এলে জোটের আসন কমবে কিনা- প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মাশরাফিকে মনোনয়ন দিলে ওখানে ওয়ার্কার্স পার্টির যিনি আছেন, সেটা হয়তো গ্রস হবে। ১৪ দলের যারা ইলেকটেড তাদের বাদ দেয়ার চিন্তা-ভাবনা নেই। ১৪ দলের হোক আর জাতীয় পার্টি হোক আর আমাদের হোক, ইলেক্টবল না হলে আমাদের বিবেচনা করতে হবে। তিনি বলেন, আমি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। নির্বাচনী ইশতেহার শিগগিরই প্রকাশ করা হবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা করার সম্ভাবনা বেশি।