বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে চলচ্চিত্র বানালে একটা হরর মুভি হতে পারে, দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে চলচ্চিত্র বানালে একটা হরর মুভি হতে পারে, যাকে আমরা ভৌতিক গল্প বলি। ভৌতিক ছবিতে আপনারা দেখেছেন- মানুষ না পোড়ালে নায়িকার ঘুম হয় না। খালেদা জিয়াকে নিয়ে চলচ্চিত্র বানালে এগুলো উঠে আসবে। সেজন্যই শেখ হাসিনাকে নিয়ে বানানো ছবি নিয়ে বিএনপি এবং রিজভী আহমেদের এত গাত্রদাহ। গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে তফসিল ঘোষণার পর শেখ হাসিনাকে নিয়ে নির্মিত ডকু ড্রামা ‘হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল’ এর প্রচারণা ও তা প্রদর্শনের কারণে নির্বাচন আচরণবিধির লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন রিজভী আহমেদ। তারই জবাবে বিএনপি চেয়ারপাসনকে নিয়ে এসব মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।
এসময় তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে চলচ্চিত্র বানানোর কিছু নেই। তাই বিএনপির গাত্রদাহ।
বিএনপির গাত্রদাহের মূল কারণ হচ্ছে- তাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়ে এমন কোনো শিল্পকর্ম বানানোর সুযোগ নেই। খালেদা জিয়ার জীবনী লিখতে গেলে কিংবা জীবনী নিয়ে চলচ্চিত্র বানাতে গেলে তো বলতে হবে- নিজের জন্মদিন না হওয়া সত্ত্বেও, ১৫ই আগস্ট তিনি কেক কাটেন। একটি মানুষের পাঁচটি জন্ম তারিখ। খালেদা জিয়াকে নিয়ে যদি কোনো চলচ্চিত্র বানাতে হয় তাহলে বলতে হবে- তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তিনি কালো টাকা সাদা করেছেন, তার দুই পুত্রের দুর্নীতি বিদেশে উদ্ঘাটিত হয়েছে। দুর্নীতির দায়ে তার ১০ বছর জেল হয়েছে। শেখ হাসিনাকে নিয়ে নির্মিত ডকু-ড্রামা ‘হাসিনা: অ্যা ডটারস টেল’ সম্পর্কে রিজভী আহমেদের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, কয়েক দিন আগে আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ওপর একটি ডকুমেন্টারি মুক্তি পেয়েছে। শেখ হাসিনার সাধারণ জীবনযাপন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড, তারপর তিনি যে সংগ্রামের মধ্যদিয়ে, হার্ডশিপের মধ্যে দিয়ে তার যে জীবন অতিক্রান্ত হয়েছে, দেশের মানুষের প্রতি তার যে মমত্ববোধ, মানুষের অধিকার আদায়ে তার যে সংগ্রাম, এ বিষয়গুলো উঠে এসেছে। ছবিটি দেখার জন্য আজকে সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে, প্রেক্ষাগৃহে জায়গা পাচ্ছে না, এটা নিছক একটি শিল্পকর্ম। এর সঙ্গে রাজনীতি কিংবা ভোটের কোনো সম্পর্ক নেই। এটার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। অথচ এই ছবির প্রদর্শনী নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ নির্বাচন আচরণবিধির কী খুঁজে পেলেন সেটা আমার বোধগম্য নয়।