× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খেলাপি ঋণ ব্যাংকারদের একটা অস্ত্র: অর্থমন্ত্রী

দেশ বিদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১৯ নভেম্বর ২০১৮, সোমবার

ঋণ খেলাপের পেছনে ব্যাংকারদের হাত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, আমার মনে হয় ব্যাংকারদের এটা একটা অস্ত্র। যেটা ব্যবহার করেন এবং করতে চান। এটা অত্যন্ত খারাপ লক্ষ্য। গতকাল বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) মিলনায়তনে পাঁচ দিনব্যাপী রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক পরিচালকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। ব্যাংকারদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার একটা উপদেশ হচ্ছে এ লক্ষ্য থেকে আপনারা বিরত থাকবেন। আল্লাহর ওয়াস্তে কিছু করেন এ ব্যাপারে। আপনাদের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ অনবরত রিশিডিউলিং হয়। জানি না কত বার রিশিডিউলিংয়ের সুযোগ আছে? কিন্তু আমার মনে হয় ব্যাংকাররা এটা অনবরত করতে থাকেন। আমার মনে হয় এটার একটু লাগাম টানা প্রয়োজন। অনেক ক্ষেত্রে অবসায়ন হলো সব থেকে ভালো সমাধান। কিন্তু সেটা হয় না। কারণ, আপনি চান সে আপনার বাধ্য থাকুক। ব্যাংকিং খাত প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, একসময় ব্যাংকিং খাত সরকারি ছিল। কিন্তু এখন ব্যাংকিং খাত ব্যক্তিমালিকানায় অনেক প্রসারিত। ব্যাংকিং খাতের সিংহভাগ ব্যবসা ব্যক্তিমালিকানা খাতেই হয়ে থাকে। এক সময় ছিল সোনালী ব্যাংক সবচেয়ে বড়। এখন আর সেটা নেই। ইসলামী ব্যাংকই মনে হয় সর্বত্র বিরাজ করে। তার মানে ব্যাংকিং খাত ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে গত কয়েক বছরে। খেলাপি ঋণ প্রসঙ্গে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ব্যাংকিং খাত নিয়ে সবচেয়ে বড় সমালোচনা হচ্ছে খেলাপি ঋণ। খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে মোটামুটি দোষটা সরকারি ব্যাংকের। সেগুলোতেই খেলাপি ঋণের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। প্রাইভেট ব্যাংক সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রাইভেট ব্যাংক সে রকম হয়নি। তবে প্রাইভেট খাতে আরেক রকম ফাঁকিবাজি রয়েছে। প্রাইভেট খাতের এক ব্যাংকের পরিচালক সমঝোতার মাধ্যমে অন্য ব্যাংক থেকে লোন নেন। তিনি তার নিজের ব্যাংক থেকে ঋণ নেন না। এইটা নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কষ্টকর। তবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। আমাদের উপায় বের করতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটা হয়নি। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর