× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মোহাম্মদপুরে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষে সংঘর্ষ তদন্তে অগ্রগতি নেই

শেষের পাতা

শুভ্র দেব
১৯ নভেম্বর ২০১৮, সোমবার

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গাড়ির চাপায় আরিফ হোসেন ও সুজন মিয়া নামের দুই কিশোর নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলার কোনো অগ্রগতি নেই। ঘটনার ৮ দিন পরও পুলিশ ঘটনার কোনো সুরাহা করতে পারছে না। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আমরা তদন্ত করছি। জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ মানবজমিনকে বলেন, এ ঘটনায় আর কাউকে গ্রেপ্তার করা  হয়নি।

ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজে একদল যুবকের পিকআপ ভ্যানের দিকে ধাওয়া দিয়ে যাওয়ার দৃশ্য থাকলেও ভ্যানটিতে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। আমরা বিষয়টি আরো তদন্ত করে দেখছি। গত শনিবার ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের মনোনয়নপত্র কেনা নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে মোহাম্মদপুর ও আদাবরের একাধিক এলাকায় সংঘর্ষ বাধে।
সংঘর্ষের সময় গাড়িচাপায় দুই কিশোর নিহতের পাশাপাশি ওই এলাকার আওয়ামী লীগের অন্তত ১৪ জন নেতাকর্মী আহত হন। ঘটনার পরপরই আহতরা দাবি করেন তারা সাদেক খানের সমর্থক হিসাবে মনোনয়নপত্র কেনার জন্য ধানমণ্ডির পার্টি অফিসে যাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ করেই তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। তাৎক্ষণিক তারা এই হামলার জন্য দায়ী করেন ওই এলাকার বর্তমান এমপি জাহাঙ্গীর কবির নানক ও তার অনুসারীদের।

ওই রাতেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয় আদাবর থানা যুবলীগের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম তুহিনকে। যিনি সবার কাছে বর্তমান এমপির অনুসারী হিসাবে পরিচিত। পরের দিন নিহত আরিফ হোসেনের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। সেই মামলায়ই যুবলীগের এ নেতাকে মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক মুকুল রঞ্জন দেবনাথ ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে হাজির করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তার জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। এরপরে আর কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন মীর মানবজমিনকে বলেন, দৌড়ঝাঁপের ফলেই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার আগে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এসব না হলে তো আর ঘটনা ঘটতো না। তবে ভিডিও ফুটেজে এই দৃশ্যগুলো এতটা স্পষ্ট না। আমরা কাউকে এখনো শনাক্ত করতে পারিনি। এছাড়া পিকআপ ভ্যানের চালক পলাতক রয়েছে এবং ভ্যানটিও খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার মানবজমিনকে বলেন, আমাদের তদন্ত অব্যাহত আছে এবং সেটি সঠিক পথেই এগুচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আমরা ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান মানবজমিনকে বলেন, ভুক্তভোগী দুটি পরিবারকেই আমি আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছি। তবে মামলার বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। মামলা নিয়ে কাজ করছে থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। তারাই মামলার আপডেট দিতে পারবে। এ বিষয়ে আমি কোনো খোঁজখবর নেইনি। নিজের দলের কর্মীদের ওপর হামলায় কাউকে সন্দেহ করছেন কিনা এমন প্রশ্নে এই নেতা বলেন, যারা হামলার শিকার হয়েছে তারাই ভালো বলতে পারবে কারা হামলা করেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর