× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আব্বাস দম্পতির আগাম জামিন বাসার সামনে থেকে ১৫ নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তারের অভিযোগ

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১৯ নভেম্বর ২০১৮, সোমবার

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগে পল্টন থানায় দায়ের করা তিন মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস।

গতকাল দুজন হাইকোর্টের  সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. জাফর আহমদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ দম্পতির আট সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতে তাদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, সগির হোসেন লিয়ন, একেএম এহসানুর রহমান প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজ উদ্দিন ফকির। পরে আইনজীবী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘পল্টনের ওই তিনটি মামলায় হাইকোর্ট বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রীকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন।

এই জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তাদের বিচারিক আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন করতে হবে।’ এর আগে জামিন নিতে গতকাল সকালেই সুপ্রিম কোর্টে আসেন মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা তাদের সঙ্গে ছিলেন। মির্জা আব্বাসের বাড়ি ঘিরে পুলিশ, ১৫ কর্মীকে আটকের অভিযোগ ওদিকে রাজধানীর শাহজাহানপুরে মির্জা আব্বাসের বাড়ি থেকে ১৫ নেতাকর্মীকে আটকের অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল দুপুরে তাদের সাদা পোশাকের পুলিশ আটক করে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন মির্জা আব্বাসের স্ত্রী ও মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। তিনি বলেন, দুপুরে বাসায় ১৫ জনের মতো কর্মী এসেছিল। তারা নির্বাচনী কাজে মির্জা আব্বাসের সঙ্গে দেখা করতে আসে। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে যাওয়ার সময় বাড়ির সামনে থেকে সাদা পোশাকের পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। আফরোজা আব্বাস বলেন, আমরা কোর্টে ছিলাম।

তাদের ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় মারধরও করে পুলিশ। তিনি বলেন, আটককৃতদের একজনের নাম রাকিব। যে শুধু মির্জা আব্বাসকে পছন্দ করে। কোনো রাজনীতি করে না। ছেলেটার বিরুদ্ধে কোনো মামলাও নেই। আফরোজা আব্বাস অভিযোগ করে বলেন, কয়েকদিন আগেও আমাদের বাড়ির দু’জন দারোয়ানকে ধরে নিয়ে যায়। তাদের সারারাত আটকে রেখে মারধর করে। পরে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর আরেকজনকে আটক করে নিয়ে যায়। তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বাড়ির চারপাশে ঘোরাফেরা করে কাউকে না কাউকে নিয়ে যায়।

আফরোজা আব্বাস বলেন, আমরা তো নির্বাচন করবো। আমাদের কি নির্বাচন করতে দেয়া হবে না? এদিকে বিএনপির এ নেতার বাসার সামনে থেকে কর্মীদের আটকের ব্যাপারে কিছুই জানা নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ বিষয়ে শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম মোল্লা মানবজমিনকে বলেন, এমন কোনো ঘটনা শুনিনি। আমি কিছুই জানি না।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর