× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘ভালো প্রার্থীদের জামিন না দেয়ার নতুন কৌশল নিয়েছে সরকার’

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৫ বছর আগে) নভেম্বর ১৯, ২০১৮, সোমবার, ৩:৩১ পূর্বাহ্ন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির ভাল প্রার্থীদের জামিন না দেয়ার নতুন কৌশল সরকার নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসমাল আলমগীর।

সোমবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ফখরুল বলেন, নি¤œ আদালতকে ব্যবহার করে নির্বাচনের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে তাঁরা। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরীর বিন্দুমাত্র ইচ্ছে নেই ইসির। এসময় তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবীও জানান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের মানুষের অধিকারকে ফিরিয়ে আনার জন্য যে আন্দোলন নিএনপি ও ঐক্যজোট শুরু করেছে সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতার পরিবর্তনে বিশ্বাস করি। আর সেই জন্য একটা অসমতল নির্বাচনী মাঠে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে যারা নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী তাদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছি।

তিনি বলেন,  আমীরা গতকাল রাজশাহী ও রংপুরের সাক্ষাৎকার শেষ করেছি। আজ বরিশাল বিভাগের ১৮৩ জনের সাক্ষাতকার শেষ করেছি।
এখন খুলনা বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেয়া হবে।
ফখরুল বলেন, নির্বাচনে এখনও যে প্রতিকূলতা রয়েছে। এটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের জন্য যথেষ্ট নয়। আমাদের যে সব দাবী সরকার তার কোনোটাই গ্রহণ করেনি। এমনকি যে কথা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তাও রাখেন নি।  আমরা প্রায় দেখছি আমাদের প্রার্থীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছ জেলে নেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে যারা সম্ভাব্য প্রার্থী তাদের মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা এসব বিষয় নির্বাচন কমিশনের গোছরে দিয়েছি। সরকারের গোছরে দিয়েছি কিন্তু এসব বিষয়ে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। ফখরুল বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে যা চলছে এখনো তাতে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে বলে আমি মনে করি না। তাই আমরা আবারো আহ্বান করবো অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সব গ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে। বিশেষ করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে।

খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা কি চায় বা কি বলে তাদের চাওয়া পাওয়া নিয়ে আমাদের কিছু যা আসে না। আমরা এখন পর্যন্ত বিশ্বাস করি তিনি নির্বাচনের যোগ্য। এবং নিসন্দেহে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।

প্রার্থীতা নিয়ে কোন্দল আছে কিনা জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, আমাদের প্রার্থীতা নিয়ে কোনো কোন্দল নাই। যাকে দল সমর্থন দিবে তার পক্ষে সবাই কাজ করবে। কারণ এটা আমাদের চূড়ান্ত আন্দোলনের অংশ। তাই আমদের একক প্রার্থী এবার ভোটে অংশ নিবে। কারণ এ নির্বাচমের ওপর নিভর্র করছে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ ।  প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, যারা দলের প্রতি, দেশের প্রতি, গণতন্ত্রের প্রতি অনুগত্য থাকবে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে দল তাদের কে মনোনয়ন দিবে। আমাদের বেশির ভাগ প্রার্থী এ বিষয়ে একমত।

দ্বিতীয় দিনের মতো ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার চলছে। সকাল ১০ থেকে এ সাক্ষাৎকার শুরু হয়েছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষৎকার গ্রহণ করছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এছাড়া, মনোনয়ন বোর্ডে রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যাারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সকাল ১০ টায় বরিশাল ১ আসনের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে দ্বিতীয় দিনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শুরু হয়। বরিশাল বিভাগের সাক্ষাৎকার গ্রহণ শেষে বিকালে খুলনা বিভাগের জেলাগুলোর প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার শুরু হবে। চলবে রাত পর্যন্ত। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৯ টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগ এবং বেলা আড়াইটা থেকে রাত পর্যন্ত কুমিল্লা ও সিলেট বিভাগের প্রার্থীদেও সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে। পরদিন বুধবার সকাল ৯ টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ বিভাগ ও বৃহত্তর ফরিদপুর এলাকা এবং বেলা  আড়াইটা থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকা বিভাগের প্রার্থীদেও সাক্ষাৎকার গ্রহণ হবে।  এদিকে সাক্ষাৎকার গ্রহণকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে দলীয় নেতাকর্মীদের ভীড় লক্ষ করা গেছে। যদিও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে তাদের অনুসারীদের নিয়ে আসতে দলীয় নিদের্শনা রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর