× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আমজাদ হোসেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি

বিনোদন

স্টাফ রিপোর্টার
১৯ নভেম্বর ২০১৮, সোমবার

প্রখ্যাত কাহিনিকার, চিত্রনাট্যকার, চলচ্চিত্র ও নাট্য পরিচালক এবং অভিনেতা আমজাদ হোসেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। গত রোববার সকালে বাসায় আমজাদ হোসেনের স্ট্রোক হয়। এরপর তাকে দ্রুত রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ইমপালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি চিকিৎসক শহীদুল্লাহ সবুজের তত্ত্বাবধানে আছেন। আজ বিকেলে প্রখ্যাত এই চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বের বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে জানতে চাইলে তার বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেন, মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন বাবার শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার এম্বুলেন্সে করে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। তবে রাষ্ট্র চাইলে এটা সম্ভব। আর সেটাও দ্রুত করতে হবে।
এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহায়তা চাইছি। আমজাদ হোসেনকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তিনি এখন লাইফ সাপোর্টে আছেন। উল্লেখ্য, ১৯৪২ সালের ১৪ই আগষ্ট জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন আমজাদ হোসেন। ৭৬ বছর বয়সী এই গুণীজন সব্যসাচী এক চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব। চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, গল্পকার, অভিনেতা, গীতিকার ও সাহিত্যিক হিসেবে সফলতা পেয়েছেন তিনি। আমজাদ হোসেন ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে আসেন। পরে তিনি চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনায় মনোনিবেশ করেন। তার পরিচালিত প্রথম ছবি ‘আগুন নিয়ে খেলা’ (১৯৬৭)। পরে তিনি ‘নয়নমনি’ (১৯৭৬), ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ (১৯৭৮), ‘ভাত দে’ (১৯৮৪) ছবিগুলো দিয়ে প্রশংসিত হন। ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ও ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কারেও ভূষিত করে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর