দলের মধ্যে দুর্নিতির প্রশ্নে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তাঁকে গান্ধারী বলেছেন। মহাভারতের মাতা গান্ধারী সবসময় কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে রাখতেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি অধীর চৌধুরী নিজের হোয়াটস গ্রুপের এক পোস্টে মমতাকে তীব্র আক্রমণ করে লিখেছেন, ‘দিদি’ বলছেন কে টাকা তোলে ‘দিদি’ সব জানে। কিন্তু কিছু বলে না। কারণ, ‘দিদি’র দলে টাকা না তোলার লোক খুঁজতে গেলে অণুবীক্ষণ যন্ত্র লাগাতে হবে।
সম্প্রতি দলের বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠকে দলীয় নেতাদের দুর্নীতি প্রসঙ্গে মমতা বলেছিলেন, কে কোথা থেকে টাকা তোলে, সব খবর তাঁর কাছে আসে। মমতার এই কথাকেই কটাক্ষ করেই কংগ্রেস সাংসদ বলেছেন, আপনার পার্টি আর প্রশাসন মিলেমিশে টাকা লুঠ করছে, আর আপনি ‘অন্ধ গান্ধারী’। যখন মনে হবে চোখ খুলবেন আর মনে হলে চোখ বন্ধ করে রাখবেন।
পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেস মমতার কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত কংগ্রেসের এই সাংসদ। অতীতেও মমতার কাজ কর্ম নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছেন।
রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতার সমালোচনার জন্যই শীর্ষ নেতৃত্ব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে সোমেন মিত্রকে সভাপতি করেছে। সাবেক কংগ্রেস সভাপতি অধীল চৌধুরি এখন তাঁর নিজস্ব এলাকা মুর্শিদাবাদেই নিজেকে আবদ্ধ রেখেছেন। মমতাকে কটাক্ষ করার পাশাপাশি মমতা রাজ্যে সিবিআআইকে ঢুকতে না দেবার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারও সমালোচনা করে অধীর বলেছেন, দিদির মুখে সারাজীবন বাংলার মানুষ শুনেছে সিবিআই চাই।
আজ পাল্টি খেয়ে দিদি বলছেন, সিবিআই কো টাটা বাই বাই। বাংলায় কোন ঘটনায় সিবিআই ভুল ও অন্যায় করেছে আমার জানতে ইচ্ছে করে। বরং সিবিআই বাংলায় সক্রিয় হলে চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের শাস্তি হতো ও টাকা ফেরতের ব্যবস্থাও হতো।