× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নাটকীয় ম্যাচে ৪ রানে হার পাকিস্তানের

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
২০ নভেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার

১৩০/৩ থেকে ১৭১/১০! আবুধাবি টেস্টে নিউজিল্যান্ডের দেয়া ১৭৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪ রানে হার দেখে পাকিস্তান। ৬৫ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি আজহার আলী। আর তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে কিউইদের নাটকীয় জয়ের নায়ক অভিষিক্ত এজাজ প্যাটেল। তার বলেই ৫৮.৪ ওভারে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে এলবিডব্লিউ হন আজহার। রিভিও নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে পাঁচ উইকেটের নৈপুণ্যে পাকিস্তানের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়ে ম্যাচসেরা হন বাঁহাতি স্পিনার প্যাটেল। গতকাল চতুর্থদিনের দ্বিতীয় সেশনে ম্যাচের নিষ্পত্তি ঘটে। টেস্টে রানের হিসেবে এটি নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে কম রানে জয়ের রেকর্ড।
আর সবচেয়ে কম রানে হারের অভিজ্ঞতা নেয় পাকিস্তান। আবুধাবিতেই গত বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগের সর্বনিম্ন ২১ রানে হার দেখে সরফরাজ আহমেদের দল। পাকিস্তানকে দুইশ’ রানের নিচে টার্গেট দিয়ে নিউজিল্যান্ডের এটাই প্রথম জয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে এ নিয়ে টানা চার টেস্ট জিতলো ব্ল্যাক ক্যাপরা। গতকাল শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ৩৭/০ সংগ্রহ নিয়ে চতুর্থদিনের ব্যাটিং শুরু করা পাকিস্তানকে শুরুতেই চেপে ধরে নিউজিল্যান্ডের বোলাররা। দলীয় ৪৮ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারায় পাকিস্তান। ১৩তম ওভারে ইমাম উল হককে (২৭) এলবিডব্লিউ করে ৪০ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন প্যাটেল। পরের ওভারেই মোহাম্মদ হাফিজ (১০) ও হারিস সোহেলকে (৪) ফিরিয়ে জোড়া আঘাত হানেন লেগস্পিনার ইশ শোধি। এরপর আসাদ শফিকের সঙ্গে ৮২ রানের জুটিতে দলকে ম্যাচে ফেরান আজহার। প্রথম সেশনের শেষ ওভারে শফিককে (৪৫) উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে ব্রেকথ্রু আনেন পেসার নেইল ওয়াগনার। ৩৭.৩ ওভারে ১৩০/৪ সংগ্রহ নিয়ে মধ্যহ্ন বিরতিতে যায় পাকিস্তান। জয় থেকে তখন ৪৬ রান দূরে তারা। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় এই সমীকরণটাই কঠিন হয়ে যায়। আজহারকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। শেষ ৪১ রানে ৭ উইকেটের পতন ঘটে। রানআউট হন বাবর আজম (১৩)। ২৩.৪ ওভারে ৫৯ রানের বিনিময়ে পাঁচ উইকেট নেন প্যাটেল। আবুধাবি টেস্টের চার ইনিংসেই ব্যাটিং ধসের প্রদর্শনী দেখেন দর্শকরা। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের বোলিং তোপে মাত্র ১৫৩ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টেস্টের প্রথম ইনিংসে এটাই সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। শেষ ৪২ রানে ৭ উইকেটের পতন ঘটে। ৬৩ রান করেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ইয়াসির শাহ ৩টি ও দুইটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ আব্বাস, হাসান আলী ও হারিস সোহেল। জবাবে বোলারদের নৈপুণ্যে পাকিস্তানকে ২২৭ রানে আটকে দেয় নিউজিল্যান্ড। শেষ ৫৩ রানে ৬ উইকেট হারায় পাকিস্তান। অর্ধশতক করেন বাবর (৬২)। কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট নেন ৪ উইকেট নেন। দুইটি করে পান কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও এজাজ প্যাটেল। আর নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ ২৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৪৯ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। অর্ধশতক করেন হেনরি নিকোলস (৫৫) ও বিজে ওয়াটলিং (৫৯)। লেগস্পিনার ইয়াসির শাহ ও পেসার হাসান আলী দুইজন মিলেই নেন ১০ উইকেট (পাঁচটি করে)। পাকিস্তানের হয়ে এক ইনিংসে দুইজন বোলারের পাঁচ উইকেট নেয়ার ষষ্ঠ ঘটনা এটি। সবশেষ ২০০৪ সালে মেলবোর্ন টেস্টের প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেন শোয়েব আখতার ও দানিশ কানেরিয়া। দুবাইতে আগামী ২৪শে নভেম্বর দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে। এর আগে সীমিত ওভারের সিরিজে টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ (৩-০) হওয়ার পর ১-১ সমতায় (তৃতীয় ম্যাচ পরিত্যক্ত) ওয়ানডে সিরিজ শেষ করে কিউইরা।
টেস্টে সবচেয়ে কম রানে জয়
জয়ী দল ব্যবধান প্রতিপক্ষ ভেন্যু সাল
ও. ইন্ডিজ ১ রান অস্ট্রেলিয়া অ্যাডিলেড ১৯৯৩
ইংল্যান্ড ২ রান অস্ট্রেলিয়া বার্মিংহাম ২০০৫
অস্ট্রেলিয়া ৩ রান ইংল্যান্ড ম্যানচেস্টার ১৯০২
ইংল্যান্ড ৩ রান অস্ট্রেলিয়া মেলবোর্ন ১৯৮২
নিউজিল্যান্ড ৪ রান পাকিস্তান আবুধাবি ২০১৮
দ. আফ্রিকা ৫ রান অস্ট্রেলিয়া সিডনি ১৯৯৪
অস্ট্রেলিয়া ৬ রান ইংল্যান্ড সিডনি ১৮৮৫
অস্ট্রেলিয়া ৭ রান ইংল্যান্ড ওভাল ১৮৮২
দ.আফ্রিকা ৭ রান শ্রীলঙ্কা ক্যান্ডি ২০০০
নিউজিল্যান্ড ৭ রান অস্ট্রেলিয়া হোবার্ট ২০১১
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর