টানা দুই হারের পর জয়ের পথে ফিরেছে স্পেন। ঘরের মাঠে বসনিয়া-হার্জেগোভিনাকে হারায় তারা। কিন্তু এই জয়েও মুখে হাসি নেই স্প্যানিয়ার্ডদের। একই দিন ইউয়েফা নেশন্স লীগের খেলায় ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় দেখে ইংল্যান্ড। এতে আসর থেকে ছিটকে পড়ে ২০১০’র বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেন। গ্রুপে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে ছিল স্পেনই। ইংল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচ ড্র হলে আসরের দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট পেতো স্প্যানিয়ার্ডরাই। স্পেনের লাস পালমাসে রোববার প্রীতি ম্যাচে ১-০ গোলে জেতে ২০১০ সালের বিশ্বকাপ জয়ীরা। ইউয়েফা নেশন্স লীগে গত অক্টোবরে ইংল্যান্ডের কাছে ৩-২ গোলে হারের পর গত সপ্তাহে ক্রোয়েশিয়ার কাছেও একই ব্যবধানে হেরেছিল স্পেন। রোববার ম্যাচের আগে গত আগস্টে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানানো মিডফিল্ডার ডেভিড সিলভাকে সম্মানিত করেছে স্পেন। সিলভার হাতে ম্যাচের আগে একটি বিশেষ স্মারক তুলে দেয়া হয়। এই সময় তার সঙ্গে ছিলেন সিলভার ১০ বয়সী ছেলে মাতেও। এরপর তার কিকের মাধ্যমে খেলা শুরু হয়। ২০০৬ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল সিলভার। স্পেনের ২০০৮, ২০১২ সালের ইউরো এবং ২০১০ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ৩২ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার লা রোজাদের জার্সিতে ১২৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। গোল করেছেন ৩৫টি, অ্যাসিস্ট ৩২টি। রোববার বসনিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পেলেও পুরো ম্যাচে ৭০ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখে স্পেন। প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে ২১টি শট নেয় তারা। এদিন ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে জয়সূচক গোলটি পায় স্পেন। রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার ইসকোর শট গোলরক্ষক ঠেকালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। আলগা বল পেয়ে অনায়াসে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন প্রথমবারের মতো স্পেনের জার্সি গায়ে মাঠে নামা সেল্টা ভিগোর ফরোয়ার্ড ব্রাইস মেন্ডেস। চলতি বছরে স্পেনের এটাই ছিল শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।