× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সেমিফাইনাল থেকে বিদায় শেখ জামাল ধানমন্ডির /৬ গোলের থ্রিলারে শেষ হাসি আবাহনীর

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২০ নভেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার

দারুণ উপভোগ্য ম্যাচে শেখ জামালকে হারিয়ে ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠেছে ঢাকা আবাহনী। ৬ গোলের থ্রিলার ম্যাচে গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা জিতেছে ৪-২ ব্যবধানে। ম্যাচে ছয় গোলের সবক’টি হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। আর ম্যাচের শেষ ১১ মিনিটে দর্শকরা উপভোগ করেন ৪ গোল আবাহনীর হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে সিজুবা। গোল করেন আফগানিস্তানের মাসিহ সাইঘানি। শেখ জামালের একাই দুই গোল করেন দিদারুল ইসলাম। বসুন্ধরা-শেখ রাসেল ম্যাচের বিজয়ীর সঙ্গে আগামী ২৩শে নভেম্বর ফেডারেশন কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ঢাকা আবাহনী।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত গোলশূন্য প্রথমার্ধে দুই দলই বল নিয়ন্ত্রণে রেখে খেলায় মনোযোগী ছিল। ২৪তম মিনিটে শেখ জামালের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সলোমন কিংয়ের কাট ব্যাকে কেউ শট নিতে পারেনি।
৩৪তম মিনিটে নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড চিজোবা লক্ষভ্রষ্ট শটে আবাহনী সমর্থকদের হতাশ করেন। ৩৯তম মিনিটে প্রথমার্ধের সেরা সুযোগটি নষ্ট হয় শেখ জামালের। বাঁ দিক থেকে কিংয়ের ফ্রিকিকে ডি বক্সের ভেতর থেকে শওকত রাসেলের হেড জমে যায় শহীদুল আলম সোহেলের গ্লাভসে। ৫২তম মিনিটে আবাহনীর ফরোয়ার্ড কারভেন্স ফিলস বেলফোর্টের দূরপাল্লার শট পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। তিন মিনিট পর এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ছোট ডি বক্সের বল নিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন সেইনে বোজাং। গোলরক্ষককে একা পেয়েও শটই নিতে পারেননি শেখ জামালের এই গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড। ৫৬তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায় প্রতিযোগিতার ১০বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। বাঁ দিক থেকে রুবেল মিয়ার ফ্রিকিক ডি বক্সে পড়ার পর ডিফেন্ডাররা বিপদমুক্ত করতে পারেননি। তড়িৎ শটে সুযোগ কাজে লাগান আফগানিস্তানের ফরোয়ার্ড মাসিহ সাইঘানি। ৬৪তম মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে শ্যামল মিয়া চিজোবাকে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড। ছয় মিনিট পর রায়হানের থ্রো ইনে বেলফোর্টের হেড গোলরক্ষক মোহাম্মদ নাইমের গ্লাভস হয়ে পোস্টে লেগে ফিরলে ব্যবধান বাড়েনি। শেখ জামাল ম্যাচে ফেরা গোল পায় ৭৯তম মিনিটে। সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকা এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন বদলি মিডফিল্ডার দিদারুল আলম। দুই মিনিট পর ওয়ালী ফয়সালের কর্নারে হেডে চিজোবা জাল খুঁজে নিলে ফের ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় আবাহনী। ৮৪তম মিনিটে ডি বক্সের জটলার মধ্যে থেকে লক্ষ্যভেদ করে দিদারুল ফের ম্যাচ জমিয়ে দেন। ৮৬তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করে হ্যাটট্রিক পূরণের সঙ্গে আবাহনীর জয় অনেকটাই নিশ্চিত করে দেন চিজোবা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর