একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বাম জোটের হয়ে লড়তে চান বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ৮৮ নেতা। এ লক্ষ্যেই গত ১৫ থেকে ১৮ই নভেম্বর পর্যন্ত চার দিনে দলটির কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন কেন্দ্রীয়সহ বিভিন্ন তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তবে জোটগত সিদ্ধান্তের পরই জানানো হবে, জোটের এই শরিক দলের মোট কতজন সরাসরি অংশ নেবেন ভোটযুদ্ধে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাস্তে প্রতীকের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন পর্যন্ত মোট ৮৮ জন আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন আসনের জন্য পর্যায়ক্রমে তৃণমূল থেকে মনোনয়নের জন্য সুপারিশের মাধ্যমে নাম এসেছে। মনোনয়ন সংগ্রহের শেষ দিনে যেসব জেলার প্রার্থীর নাম এসেছে, তারা হলেন- মোস্তফা নূরুল আমিন (সিরাজগঞ্জ-৩), সুকান্ত শফী চৌধুরী কমল (ঢাকা-২), আবুল কালাম মো. মোস্তফা (রাজবাড়ী-১), দাউদ খান (রাজবাড়ী-২), হাফিজুর রহমান (ফরিদপুর-২), আতাউর রহমান কালু (ফরিদপুর-৪), আজিজুর রহমান রোকন (শরীয়তপুর-১), নিরঞ্জন দাশ খোকন (সুনামগঞ্জ-২), পীযূষ চক্রবর্তী (হবিগঞ্জ-২), ঈশা খান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২), শাহীন খান (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), অ্যাড. সৈয়দ মোহাম্মদ জামাল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬), মজিবুল হক (নোয়াখালী-৩), সেহাব উদ্দিন সাইফু (চট্টগ্রাম-৮), আব্দুর নবী (চট্টগ্রাম-১৪), দীপক বড়ুয়া (কক্সবাজার-৩), মো. মনিরুজ্জামান চন্দন (নারায়ণগঞ্জ-১), হাফিজুল ইসলাম (নারায়ণগঞ্জ-২), আব্দুস সালাম বাবুল (নারায়ণগঞ্জ-৩), ইকবাল হোসেন (নারায়ণগঞ্জ-৪), অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ (নারায়ণগঞ্জ-৫), প্রভাত সমীর শাহাজাহান আলম (ঠাকুরগাঁও-৩), রিয়াজুল ইসলাম রাজু (দিনাজপুর-৪), মনসুর রহমান (নওগাঁ-৬) আনিসুর রহমান (মাগুরা-১), খান সেকেন্দার আলী (বাগেরহাট-২), কৃষক নেতা জাহিদ হোসেন খান (টাঙ্গাইল-২), আফিল শেখ (শেরপুর-১), আব্দুর রাজ্জাক (ময়মনসিংহ-১), মোস্তফা আহমেদ (নেত্রকোনা-২), অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেন (নেত্রকোনা-৩), নুরুল ইসলাম (কিশোরগঞ্জা-২), ডা. এনামুল হক ইদ্রিস (কিশোরগঞ্জ-৩), অধ্যক্ষ ফরিদ আহমেদ (কিশোরগঞ্জ-৫), কৃষক নেতা আবিদ হোসেন (ঢাকা-১) প্রমুখ। তবে সিপিবি’র মনোনয়ন বোর্ড এসব প্রার্থীর মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করে তারপরই তাদের প্রার্থিতা চূড়ান্তের সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানান দলের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি বলেন, এদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় কখনো আওয়ামী লীগ আবার কখনো বিএনপি থেকেছে।
তারা বিরোধী দলে থাকলে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলে, আর ক্ষমতায় গেলে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে। লুটপাটের জন্য এদের কাছে ক্ষমতা অপরিহার্য। তাই এই দুই গোষ্ঠীর হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে, একমাত্র নীতিনিষ্ঠ শক্তি বাম গণতান্ত্রিক জোট আজ ভোটের সংগ্রামে নেমেছে। আর সাধারণ মানুষের এই দাবির সংগ্রামে দেশবাসীকে সচেতন ও সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরও ক্ষমতাসীন দলের রঙিন বিজ্ঞাপনে রাস্তাঘাট সাজানো ও ইলেকট্রনিক প্রচারে ক্ষোভ প্রকাশ করে, অবিলম্বে এসব বন্ধে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানিয়েছেন প্রবীণ এই বাম নেতা।