পাবনায় ডাকাতদল তৎপর হয়ে উঠেছে। ঈশ্বরদীতে ডাকাতদলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। অপরদিকে, পাবনা সদরের মালঞ্চিতে একরাতে একই গ্রামের দুইবাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাত দল স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ১৮ লাখ টাকার মালামাল লুটে নিয়ে যায়। তারা দুইজনকে কুপিয়ে জখম করে। ঈশ্বরদীতে ডাকাত দলের নিক্ষিপ্ত হাতবোমায় ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হক ও পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে দুই ডাকাত আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের আটক করে পাবনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাহা উদ্দিন ফারুকী জানান, সোমবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের ভাড়ইমারি এলাকায় বেশ কিছুদিন যাবৎ পাবনার ঈশ্বরদীসহ আশপাশের এলাকায় সংঘবদ্ধ ডাকাতচক্র ডাকাতি করে আসছিল। ডাকাতি প্রতিরোধে পুলিশের চলমান অভিযানের মধ্যেই আন্তঃজেলা ডাকাতচক্র ঈশ্বরদীর ভাড়ইমারী এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালালে, ডাকাতদলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে হাতবোমা নিক্ষেপ করে। এ সময় আত্মরক্ষায় পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে ডাকাতদলের সদস্যরা পিছু হটে। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আন্তঃজেলা ডাকাতচক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়। আটকরা হলো- ঈশ্বরদীর আওতাপাড়া এলাকার মোজাম্মেল মল্লিকের ছেলে ফারুক (২৩) ও চুয়াডাঙ্গা গোগাইল এলাকার ফজলু মণ্ডলের ছেলে মফিজুল ইসলাম (৩০)। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ হাতবোমার খোসা, চাইনিজ কুড়ালসহ ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে। পরে আহত দুই ডাকাতকে পাবনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডাকাতের নিক্ষিপ্ত হাতবোমায় আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হক, এসআই ইব্রাহীম হোসেন, কনস্টেবল গৌতম রায়, মোজাম্মেল হক ও শামিউল ইসলাম। আহত পুলিশ সদস্যদের ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ডাকাত দলের মারপিটে দুইজন গুরুতর আহত হয়। আহতদের পাবনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।