× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নারায়ণগঞ্জে সাত খুন মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২০ নভেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার

আলোচিত নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলায় হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল বিকালে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৭৮১ ও ৭৮২ পৃষ্ঠার পৃথক ও পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এর আগে রায়ে স্বাক্ষর করেন বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ 
ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম। সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সারোয়ার কাজল গণমাধ্যমকে জানান
, আসামিপক্ষ হাইকোর্টের রায়ের (সার্টিফায়েড) কপি হাতে পেয়ে আপিল বিভাগে আপিল করতে পারবে। গত বছরের ২২শে আগস্ট সাত খুন মামলায় হাইকোর্টের রায়ে সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা (বহিষ্কৃত) নূর হোসেন, র?্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক, সেনাবাহিনীর বরখাস্ত কর্মকর্তা তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, সাবেক কোম্পানি কমান্ডার আরিফ হোসেনসহ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল থাকে। বাকি ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, এই চাঞ্চল্যকর মামলার আসামিরা যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তাতে উঠে এসেছে যে, এই হত্যাকাণ্ড ছিল সুপরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক। নূর হোসেন এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড। তার সঙ্গে ছিলেন তারেক সাঈদ, আরিফ ও মাসুদ রানা।
রায়ে বলা হয়, দেশের জনগণের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র‌্যাবের প্রতি মানুষের যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। কিন্তু কতিপয় সদস্যের কারণে সামগ্রিকভাবে গোটা বাহিনীকে দায়ী করা যায় না। কিছু উচ্ছৃঙ্খল র‌্যাব সদস্যের কারণে এ বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল অর্জন ম্লান হতে পারে না। তাদের সন্ত্রাস বিরোধী ভূমিকা ধূলিসাৎ হতে পারে না। কিন্তু এ ঘটনায় বাহিনীর কতিপয় সদস্যের শয়তানি প্রবৃত্তি মানবসভ্যতার মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। রায়ে আরো বলা হয়, যে সাতজনকে হত্যা করা হয়েছে, হেফাজতে তাদের মৃত্যুযন্ত্রণা ছিল ভয়াবহ ও অকল্পনীয়। রায়ে বলা হয়, যে ধরনের অপরাধ তারা (দণ্ডিতরা) করেছেন তারপরও যদি তাদের উপযুক্ত সাজা দেয়া না হয়, তাহলে বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থাহীনতা তৈরি হবে।

২০১৪ সালের ২৭শে এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০শে এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ছয় জনের লাশ ভেসে ওঠে। পরদিন ভেসে উঠে আরো একটি লাশ। নিহত অন্য ব্যক্তিরা হলেন- নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম। ঘটনার এক দিন পর কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। আইনজীবী চন্দন সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় ১১ই মে একই থানায় আরেকটি মামলা হয়। দুই মামলায় গত বছরের ১৬ই জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত এক রায়ে র?্যাবের সাবেক ১৬ কর্মকর্তা-সদস্য এবং নূর হোসেন ও তাঁর অপরাধজগতের ৯ সহযোগীসহ ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এ ছাড়া র?্যাবের আরো ৯ জন সাবেক কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর