বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার প্রয়োজন হলে তাকে মেডিকেল বোর্ডের অধীনে যথাযথ চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি কারাগারে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে কারা কর্তৃপক্ষকেও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত রিটের নিষ্পত্তি করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন। খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে কারাগারে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১১ই নভেম্বর এই রিট আবেদনটি করেন তার আইনজীবী নওশাদ জমির। আদালতে বিএনপির চেয়ারপারসনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, কায়সার কামাল প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
আদালতের আদেশ শেষে বিএনপির চেয়ারপারসনের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, খালেদা জিয়ার পূর্ণ চিকিৎসা হওয়ার আগেই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। তিনি এখনো সুস্থ হননি।
জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা যে রিট আবেদনটি করেছিলাম আদালত তা নিষ্পত্তি করেছেন এবং বলেছেন তিনি (খালেদা জিয়া) যখনই চাইবেন তখনই তাকে বিএসএমএমইউতে নিয়ে যথাযথ চিকিৎসা দিতে হবে। অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা বলেন, আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, যখন উনার (খালেদা জিয়া) চিকিৎসার প্রয়োজন হবে তখন মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে পরামর্শ ও সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ড যদি মনে করে যে হাসপাতালেই চিকিৎসা প্রয়োজন তাহলে হাসপাতালেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
গত ৪ঠা অক্টোবর হাইকোর্টের এই বেঞ্চ খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নতুন করে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করতে এবং অনতিবিলম্বে তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করে চিকিৎসার নির্দেশ দেন। এরপর ৬ই অক্টোবর তাকে ওই হাসপাতালের কেবিন ব্লকে ভর্তি করা হয়। গত ৮ই নভেম্বর খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতাল থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। ওই দিন নাইকো দুর্নীতি মামলাতেও হাজির করা হয় তাকে। পরিত্যক্ত ওই কারাগারের একটি ভবনে এই মামলার বিচারকাজ চলছে। ওইদিন দুপুরে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বিচারপতি শেখ হাসান আরিফের নেতৃত্বে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চকে বিষয়টি অবহিত করেন। এ সময় আদালত আইনজীবীদের বলেন, এ সংক্রান্ত রিট আবেদনটি যেহেতু নিষ্পত্তি হয়ে গেছে তাই এ বিষয়ে নতুন করে আবেদন করতে হবে এবং যদি মনে করা হয় যে নতুন কোনো কারণ তৈরি হয়েছে, তাহলে নতুন করে আবেদন করতে হবে। গত ১১ই নভেম্বর রিট আবেদন করা হয়।