× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিরিসেনা-রাজাপাকসে-বিক্রমসিংহ সমঝোতাহীন বৈঠক

এক্সক্লুসিভ

মানবজমিন ডেস্ক
২০ নভেম্বর ২০১৮, মঙ্গলবার

সাংবিধানিক সংকটের মুখে বৈঠকে বসেছেন শ্রীলঙ্কার তিন প্রধান নেতা। প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনার উপস্থিতিতে রোববার মুখোমুখি হন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহ ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে। কিন্তু তিন নেতার এই বৈঠকে কার্যত কোনো সফলতা আসেনি। কেননা সংকট উত্তরণের উপায় নিয়ে কোনো সমঝোতা ছাড়াই তাদের বৈঠক শেষ হয়েছে। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
২৬শে অক্টোবর শ্রীলঙ্কায় সংকট শুরুর পর এই প্রথম তিন নেতা মুখোমুখি বৈঠকে বসলেন। পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসের প্রতি সদস্যরা অনাস্থা জ্ঞাপনের পর অনেকটা বাধ্য হয়েই প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা সমঝোতার পথ ধরেছেন। কলম্বোতে প্রেসিডেন্টের অফিসে তারা সমঝোতার বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তাদের দলীয় নেতা-কর্মীরাও সেখানে অবস্থান নেন।
কিন্তু কোনো পক্ষই নমনীয় না হওয়ায় সমঝোতা ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়। প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা ও প্রধানমন্ত্রী রাজাপাকসে দু’জনই কণ্ঠভোটে পার্লামেন্টে পাস হওয়া অনাস্থা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তারা আবারো ভোটাভুটির দাবি জানান। তাদের অভিযোগ, স্পিকার যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ    পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ৪
 করতে ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু বিক্রমসিংহ’র সমর্থকরা পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন, রাজাপাকসে অনাস্থা ভোট প্রত্যাখ্যান করে পার্লামেন্টের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছেন। রোববারের বৈঠকের বিষয়ে বিক্রমসিংহের ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) সংসদ সদস্য লক্ষণ কিরিয়েলা সাংবাদিকদের জানান, পার্লামেন্টে আবারো সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাতে পারে তার দল। কিন্তু প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে কোনো আগ্রহ দেখায়নি ইউএনপি।
এদিকে, বৈঠকের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা বিবৃতি দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট তখনই অনাস্থা ভোট মেনে নেবেন, যখন সংসদ সদস্যদের নামে বা ইলেক্ট্রিক পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। কৌশলগতভাবে বৈধ হলেও এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কণ্ঠভোট গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা এতে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এ ছাড়া, বৈঠকে সব পক্ষ এই বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, পরবর্তীতে পার্লামেন্টের কার্যক্রম শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে নমল রাজাপাকসে এক টুইটার বার্তায় বলেন, কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হওয়ায় তিনি হতাশ। নমল বলেন, ‘আমরা আবারো সাধারণ নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। যেন জনগণ তাদের সরকারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ’
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা বর্তমান পরিস্থিতিকে ৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত দীর্ঘায়িত করতে চাচ্ছেন। তখন সুপ্রিম কোর্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার আদেশকে বৈধ ঘোষণা করতে পারে বলে আশাবাদী তিনি। এদিকে, দ্রুতই আবারো পার্লামেন্ট অধিবেশন বসছে। তবে সেখানে সংকটের সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা কম। এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রীলঙ্কান প্রফেসর অসঙ্গা ওয়েলিকালা রোববারের সমঝোতাবিহীন বৈঠকের জন্য প্রেসিডেন্ট সিরিসেনাকে দোষারোপ করেন। তিনি বলেন, বিরাট এ বিপর্যয়ের প্রতি প্রেসিডেন্টকে অন্যমনস্ক মনে হচ্ছে। বিক্রমসিংহ’র সঙ্গে ব্যক্তিগত রেষারেষির কারণে তিনি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এমনটি করছেন। তিনি বারবার সংবিধান লঙ্ঘন করছেন। তার এমন কর্মকা- দেশের গণতন্ত্রের জন্য বিপর্যয়কর। এতে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর