× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চট্টগ্রামে গৃহশিক্ষকের হাতে খুন ছাত্রীর মা

অনলাইন

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) নভেম্বর ২০, ২০১৮, মঙ্গলবার, ৬:৫৩ পূর্বাহ্ন

প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যাত হয়ে শেষে ছাত্রীর মাকে দা দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে গৃহশিক্ষক শাহজাহান (২৯)। একইভাবে কুপিয়ে মারাতœকভাবে জখম করেছে ছাত্রীর বাবা ও চাচাকে।
মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিশ্ব কলোনি বেড়া মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন আহত বাবা ও চাচাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। আর গৃহশিক্ষক শাহজাহানকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে।   

চট্টগ্রাম মহানগর আকবর শাহ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহশিক্ষক শাহজাহানকে আটক করে পুলিশ।
ছাত্রীর মা শাহীনা বেগমের (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত শাহীনা বেগম (৩৫) স্থানীয় বেড়া মসজিদ এলাকার জসিম উদ্দিনের স্ত্রী বলে জানান ওসি।
ওসি বলেন, জসিম উদ্দিনের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে পড়াতেন স্থানীয় শাহজাহান। জিজ্ঞাসাবাদে শাহজাহান জানান, তিনি প্রথমে ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন।
ছাত্রী প্রত্যাখান করলে শাহজাহান জসিম উদ্দিন ও শাহীনা বেগমের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন। তারাও ক্ষুব্ধ হয়ে শাহজাহানকে বাসায় আসতে মানা করেন।

এ নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে শাহজাহান আবারও ছাত্রীর বাসায় গেলে শাহীনার সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শাহজাহান দা দিয়ে শাহীনাকে কুপিয়ে মারাতœকভাবে জখম করে। জসিম ও তার ছোট ভাই শাহীনাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে শাহজাহান তাদেরকেও কুপিয়ে আহত করে। তবে জসিম ও তার ভাইয়ের আঘাত গুরুতর নয় বলে জানান ওসি মো. জসিম উদ্দিন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, বিকেল ৪টার দিকে শাহীনাকে হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। আহত বাবা ও চাচাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর