× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মাদারীপুর-৩ /উল্টে যেতে পারে ভোটের হিসাব

এক্সক্লুসিভ

অলিউল আহসান কাজল, মাদারীপুর থেকে
২১ নভেম্বর ২০১৮, বুধবার

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবাহান গোলাপকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে এমন গুঞ্জন সারা মাদারীপুরে। এই গুঞ্জনে ক্ষুব্ধ মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। তাদের দাবি আব্দুস সোবাহান গোলাপ জনবিচ্ছিন্ন নেতা। তার সঙ্গে সম্পর্ক নেই জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। তাকে মনোনয়ন দেয়া হলে আওয়ামী লীগ এই আসনটি হারাতে পারে। পাল্টে যেতে পারে ভোটের হিসাব-নিকাশ। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। গোলাপের মনোনয়নের খবরে ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে বিএনপি।
জানা যায়, কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের মধ্যে মনোনয়ন যুদ্ধ চলছিল। এ আসনে কে পাচ্ছেন নৌকা প্রতীক। এমন আলোচনা-সমালোচনা এখন সর্বত্র। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ একক প্রার্থী হিসেবে বাহাউদ্দিন নাসিমের নাম প্রস্তাব করে কেন্দ্রে পাঠায়। এ আসনে আওয়ামী লীগের দুই হেভিওয়েট প্রার্থী আবুল হোসেন এবং বাহাউদ্দিন নাছিমকে বাদ দিয়ে গোলাপকে মনোনয়ন দেয়ার গুঞ্জনে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা।

কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপিকা তাহমিনা সিদ্দিকী জানান, কালকিনির মাটি ও মানুষের জনপ্রিয় নেতা বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি বিগত ৫ বছরে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি মাঠ-ঘাট ও পাড়া-মহল্লা চষে বেড়িয়েছেন এবং ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। তাকে মনোনয়ন না দিলে তৃণমূলে চরম হতাশা দেখা দেবে।

মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃঞ্চ দে জানান, বাহাউদ্দিন নাছিম এই নির্বাচনী এলাকায় মাটি ও মানুষের নেতা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তিনি নিজেই প্রতিনিয়ত দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে দলীয় নেতাকর্মীদের সক্রিয় করে সংগঠনকে সর্বদা চাঙ্গা রাখছেন। আর তার দিকনির্দেশনায় ঝিমিয়ে পড়া নেতাকর্মীদের মধ্যে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য।

মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালিদ হোসেন ইয়াদ বলেন, তিনি গত ১০ বছরে একবার জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যাননি। খোঁজখবর নেন না নেতাকর্মীদের। তিনি একজন জনবিচ্ছিন্ন নেতা। তিনি ছিলেন আমেরিকার নাগরিক। তাকে মনোনয়ন দিলে এই আসনটি হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। উল্লেখ্য, গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে গণসংযোগ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ড. আব্দুস সোবাহান গোলাপের গাড়ি বহরে সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের পক্ষে স্লোগানপন্থি একটি গ্রুপ হামলা চালিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর