× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মৃত্যুর ১১ দিন পর থানায় হত্যা মামলা /সড়ক দুর্ঘটনায় নয়, শফিককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়

বাংলারজমিন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
২১ নভেম্বর ২০১৮, বুধবার

ঝিনাইদহ শহরের হামদহ এলাকার শফিকুল ইসলাম (৩৯) সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাননি। তাকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। মৃত্যুর ১১ দিন পর ঝিনাইদহ সদর থানায় দায়ের করা মামলা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। নিহতের বোন মাহবুবা জাহান খালেদা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এছাড়া ময়না তদন্তের রিপোর্টেও শফিককে কুপিয়ে হত্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, গত ২রা নভেম্বর শুক্রবার রাতে শফিকুলের কাদাপানি মাখা অর্ধমৃত দেহ পাওয়া যায় ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের লাউদিয়া এলাকায়। সে সময় পুলিশসহ অনেকের সন্দেহ ছিল সড়ক দুর্ঘটনায় হয়তো শফিক মারা গেছেন। ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস কালীগঞ্জ যাওয়ার সময় সড়কের উপর পড়ে থাকতে দেখে শফিকুলকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ফরিদপুরে নেয়ার পথে শনিবার ভোরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মামলার এজাহারে বাদী মাহবুবা জাহান খালেদা উল্লেখ করেন, হামদহ বাসষ্ট্যান্ডের বাসার সামনে দোকান ঘর বিক্রি করা করা নিয়ে জনৈক রফিকুল ইসলামের সঙ্গে বিরোধের সূত্র ধরে তাকে হত্যা করা হয়। দোকানের পজিশন বিক্রির টাকা চাইতে গেলে কাঞ্চনপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে রফিকুল ইসলাম গত ১৮ অক্টোবর শফিককে কাঠের বাটাম দিয়ে মারধর করে হত্যার চেষ্টা চালায়। সেই ক্ষত শুকাতে না শুকাতেই ২রা নভেম্বর মোবাইলে ডেকে নিয়ে রফিকুল ও অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা শফিকুলকে কুপিয়ে হত্যার পর সড়ক দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এজাহারে বাদী তার সৎ মা ও সৎ ভাই বোনদেরও এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার শংকা প্রকাশ করে উল্লেখ করেছেন পৈত্রিক জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তাদের বিরোধ এমনটি আদালতে মামলাও চলমান রয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি এমদাদুল হক শেখ জানান, ৩০২/২০১ ও ৩৪ ধারায় হত্যা মামলা রেকর্ড হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর