কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল জিএম রহিম উল্লাহ মারা গেছেন। কক্সবাজার শহরের ঝাউতলাস্থ হোটেল সাগরগাঁওয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে মঙ্গলবার বেলা ১টার মধ্যে কোনো এক সময় তিনি মারা গেছেন বলে পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। হোটেলের স্বত্বাধিকারী হাজী মরহুম জালাল আহম্মদ চৌধুরীর মেয়ে জামাই তিনি। পারিবারিক সূত্র জানায়, সোমবার রাতে হোটেল সাগরগাঁওয়ের চতুর্থ তলার ৩১৬ নম্বর কক্ষে একা ঘুমাতে যান জিএম রহিম উল্লাহ। মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ঘুম থেকে উঠেননি তিনি। পরে সন্দেহ হলে দরজা ভেঙে দেখা যায় তিনি স্বাভাবিক ভাবে ঘুমের মতই শুয়ে আছেন কিন্তু মৃত। পারিবারিক জীবনে জিএম রহিম উল্লাহ চার মেয়ে ও এক ছেলের জনক। তার স্ত্রী স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক।
এদিকে, খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর তাকে দেখতে রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষ সাগরগাঁও হোটেলে ভিড় জমান। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হোটেলে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স এনে লাশ সেখানে তোলা হচ্ছে। কক্সবাজার সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. খায়রুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। যেহেতু তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক দলের জেলা পর্যায়ের দায়িত্বশীল তাই মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হবে। কিন্তু তার পরিবার বিনা ময়নাতদন্তে তাকে দাফনের অনুমতি চেয়েছেন। মরহুমের শ্যালক রাসেদুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনিক অনুমতি পেলে দলীয় ও পারিবারিক সিদ্ধান্তে তার জানাজার নামাজ ও দাফন সম্পন্ন করা হবে। প্রাথমিকভাবে স্ট্রোকজনিত কারণে তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছে। ক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালীতে জন্ম জিএম রহিম উল্লাহ ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হন এবং একাদশ জাতীয় নির্বাচনে তিনি কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসন থেকে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা ছিল।