× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঝিনাইদহ-৪ আসন পুনরুদ্ধার চায় বিএনপি

বাংলারজমিন

তোফাজেল হোসেন তপু, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) থেকে
২১ নভেম্বর ২০১৮, বুধবার

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ১১টি, সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত ঝিনাইদহ-৪ আসন। এই আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৪৯ হাজার ২২ জন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে তরুণ ও শিক্ষিত প্রার্থী চায় এলাকার ভোটাররা। বিএনপির ঘাঁটি বলে পরিচিত এ আসনটি। যিনি এলাকার শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাবেন, কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে এলাকার তরুণ প্রজন্মকে আর্থ-সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী করবেন, দরিদ্র কৃষকদের জন্য যুগোপযোগী পদক্ষেপ নেবেন, রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে এলাকাকে শিল্পসমৃদ্ধ নগর হিসেবে গড়ে তুলবেন; এবার এমন প্রার্থীকেই ভোট দিতে উদগ্রীব তারা। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের এরকম কিছু চাওয়া পূরণ করতেই এবার এই আসনের এমপি হতে আগ্রহী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই দাবি করছিলেন তিনি। এ আসনের ভোটার মনির হোসেন বলেন, আমরা চাই সৎ-যোগ্য-শিক্ষিত ব্যক্তি যিনি এলাকার উন্নয়নে সশরীরে অংশগ্রহণ করবেন।’ কৃষক আব্দুল কুদ্দুস কেমন এমপি চান এ প্রশ্নের উত্তরে বলছিলেন, ‘আমরা জমিতে চাষ করি, ফসল ফলাই।
কিন্তু যোগাযোগের অভাবে দাম পাই না; আমাদের চাষিদের নিয়ে যে ভাববে তাকেই ভোট দিব।’ এলাকার ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মাদক এখন আমাদের বিরাট সমস্যা, যে প্রার্থী মাদক বন্ধে কাজ করবে তাকেই ভোট দেব। ’ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি শহীদুজ্জামান বেল্টু, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজিম মাহমুদ, ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াস রহমান মিঠু, বিএনপি নেতা হারুন মোল্যা ইতিমধ্যেই তিনি দলীয় ফরম সংগ্রহ করে জমাও দিয়েছেন। ১/১১ এর সময়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য ও সেই সময়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে দলের শীর্ষ পর্যায়ের গুডবুকে রয়েছেন শহীদুজ্জামান বেল্টু। অন্যদিকে এই আসনের বিএনপির তৃণমূলের অনেকে মনে করেন শহীদুজ্জামান বেল্টু ধানের শীষের প্রার্থী। তিনি বিপুল ভোটে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। দশম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি না থাকায় আওয়ামী লীগের জন্য ঝিনাইদহের চারটি আসনই দখল সহজ হয়ে যায়। একাদশ সংসদ নির্বাচনেও দলটি আসনগুলো দখলে রাখার জন্য বদ্ধপরিকর। দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও মাঠে নেমে পড়েছেন এরই মধ্যে। আসনগুলোতে একসময় বিএনপির শক্ত অবস্থান ছিল। নির্বাচন নিরপেক্ষ হলে বিএনপি চারটি আসনই পুনরুদ্ধার করতে পারবে বলে আশা করছে দলটি। এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণার পরই মাঠে তৎপর বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র প্রত্যাশী বর্তমান সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজীম আনার, সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান, কালীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বিজু, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী ঠাণ্ডু, ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান মতি, সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদ শমসের, কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল ইসলাম তপু ও শরিফুল ইসলাম মিন্টু। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও এলাকায় গণসংযোগ করছেন এবং এই আসন ধরে রাখতে মরিয়া।
মনোনয়ন জমা দেয়ার পর শহীদুজ্জামান বেল্টু বলেন, ‘ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম ও ‘দলের চেয়ারপারসন’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজপথের আন্দোলনে সক্রিয় ছিলাম এবং আছি। দলের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি। ঝিনাইদহ-৪ আসনের সর্বস্তরের মানুষের দোয়া কামনা করছি।’ বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর