ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বিরুদ্ধে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ৭০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের দাবি বাতিল করেছে আইসিসি। আপিল অযোগ্য রায় দেয় আইসিসির তিন সদস্যের বিরোধ নিষ্পত্তি কমিটি (ডিআরসি)। গতকাল এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। দ্বিপক্ষীয় সিরিজ নিয়ে সমঝোতা স্মারক চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ এনে বিসিবির কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করে পিসিবি; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৮২ কোটির বেশি। শুরু থেকেই বিসিসিআইয়ের অনড় অবস্থানের কারণে আইসিসির দ্বারস্থ হয় পিসিবি। গত মাসে দুই পক্ষকে নিয়ে তিন দিনের শুনানি করে ডিআরসি। মৌখিক ও লিখিত বিষয় পর্যালোচনা করে বিসিসিআইয়ের পক্ষে রায় দেয়া হয়। এই রায় চূড়ান্ত, এর বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে না পিসিবি।
২০১৪ সালে আট বছরে ছয়টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার জন্য বিসিসিআই ও পিসিবির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি সই হয়। সে অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সিরিজগুলো সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু দুই প্রতিবেশী দেশের রাজনৈতিক বৈরী সম্পর্কের কারণে আজ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। বিসিসিআইয়ের দাবি, পিসিবির সঙ্গে তাদের সমঝোতা স্মারকের আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার আলোচিত রাজস্ব মডেলে পাকিস্তানের সমর্থন না দেয়ার কথাও তুলে ধরা হয়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের একজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ‘ইন্ডিয়া টুডে’তে বলা হয়, ‘পিসিবিকে এক পয়সাও ক্ষতিপূরণ দেয়ার অবকাশ নেই। তারা নিজেদের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসে। আমাদের রাজস্ব মডেলে তাদের সমর্থনের ওপর ভিত্তি করেই চুক্তি করা হয়েছিল।’ আইসিসি ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের অধীনে কোনো টুর্নামেন্ট ছাড়া ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখা থেকে বঞ্চিত ক্রিকেটপ্রেমীরা। সবশেষ ২০১২-১৩ সালে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে ভারত সফর করেছিল পাকিস্তান। সেবার ১-১ সমতায় টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নেয় মিসবাহ উল হকের দল।