× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সাঙ্গাকারার পরামর্শ ভোলেননি সাদমান

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২১ নভেম্বর ২০১৮, বুধবার

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) চতুর্থ আসরে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে খেলেছিলেন সাদমান ইসলাম অনিক।  দেশেরে ঘরোয়া ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি আসরে তরুণ ক্রিকেটার নিজের দলে পেয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং গ্রেট কুমার সাঙ্গাকারাকে। একই সঙ্গে ব্যাটও করেছেন ম্যাচে। তরুণ এই ব্যাটসম্যান এত বড় মাপের এই ব্যাটসম্যানকে সঙ্গে পেয়ে ছিলেন ভীষণ খুশি। কিন্তু সাঙ্গাকারা টি-টোয়েন্টি নয়, সাদমানকে ডেকে পরামর্শ দিয়েছেন লংগার ভার্সনে মনোযোগ দিতে। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, ‘তুমি যত বেশি লংগার ভার্সন খেলবে, দেখবে অন্য ফরমেটে ততো ভালো খেলতে পারবে।’ অনিকের তরুণ মনে দারুণ দাগ কেটেছিল সেই কথাটি। শুধু সাঙ্গাই নয় দেশ ও বিদেশের সব বড় ব্যাটসম্যানরা তাকে এই পরামর্শই দেন; যা দারুণভাবে পালন করতে শুরু করেন তিনি। ২০১৪ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের। ৪২ ম্যাচ খেলে ৪৬.৫ গড়ে রান করেছেন ৩০২৩।
হাঁকিয়েছেন ৭ সেঞ্চুরি ১৬ ফিফটিও। বলতে গেলে লংগার ভার্সনে দারুণ পরিশ্রমই করেছেন তিনি। যার ফলও পেতে দেরি হয়নি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ৭৩ রানে দারুণ ইনংস খেলে চলে এসেছে টেস্ট দলে। হয়তো এই সিরিজেই তার টেস্ট অভিষেক হতে পারে বাংলাদেশ দলের হয়ে। অনিক বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মনোযোগ দিয়েছিলাম বলেই এই সুযোগ। হ্যাঁ, আমার মনে আছে সাঙ্গাকারা বিপিএল খেলার সময় আমাকে বলেছিলেন, সীমিত ওভার নয় লংগার ভার্সনে মনোযোগ দেয়। সেখানে ভালো করলে সব ফরমেটেই ভালো করতে পারবে। তখন বিপিএলে কীভাবে রান করতে হয় সেটি শেখাতে হবে না। আমি তার পরামর্শ মনে রেখেছি। শুধু তিনিই নয়, আরো অনেকেই আমাকে লংগার ভার্সনে মন দিতে বলেছেন। আমি সেটি করেছি।’
২৩ বছর বয়সে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন। তার আগে নিজের প্রথম শ্রেণির পাঁচ বছরের ক্যারিয়ারে নিজেকে গড়ে তুলেছেন। সেখানেই সাদমানের সন্তুষ্টি। দলে সুযোগ পাওয়ার সাদমান বলেন, ‘আমি তো প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলছি অনেক দিন থেকেই, প্রায় চার পাঁচ বছর হয়ে গিয়েছে। আমি যেমন পারফর্মেন্স করে আসছি হয়তো তা ঠিক আছে। একজন ব্যাটসম্যান যখন জাতীয় দলে খেলতে যায় তখন একটু পরিপক্ব হয়ে যাওয়াই ভালো। আমার মনে হয় আমি যেমন খেলেছি হয়তো আমি একটু পরিপক্ব হয়েছি।’  
তবে ঘরোয়া আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এক নয় তা বেশ ভালো করেই জানেন সাদমান। তবে পার্থক্য যাই থাকুক ঘরোয়া ক্রিকেটে দীর্ঘ দিন খেলার অভিজ্ঞতা তাকে কিছুটা পরিণত করেছে, তাই সাদমান বিশ্বাস রাখছেন নিজের সামর্থ্যের ওপর। তিনি বলেন, ‘পরিণত হয়ে আসাটা আসলে অনেক জরুরি। যেমন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলে আসার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটা হয়তো একটু চিন্তাভাবনা করেই খেলতে হয় সবার। আর আমার কাছে মনে হয় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট আর জাতীয় দলের পার্থক্য অনেক। তবে যেহেতু আমি অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছি তাই আমি জানি যে কীভাবে ইনিংসটা গুছিয়ে নিতে হবে। এই বিষয়টি যদি আমার জানা থাকে তাহলে আমার মনে হয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটু হলেও ভালো করার সুযোগ থাকে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর