× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রওশন আরার মৃত্যুর ঘটনায় দায়ী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কেন নয়: হাইকোর্ট

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২১ নভেম্বর ২০১৮, বুধবার

 বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চলচ্চিত্র নির্মাতা রফিক শিকদারের মা রওশন আরার কিডনি  অপসারণ ও তার মৃত্যুর ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দুই চিকিৎসকের সনদ বাতিলসহ তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, রওশন আরার পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্তে এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এম. আসাদুজ্জামান। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. আনিসুল হাসান ও মো. শাহীনুজ্জামান। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ও রফিক শিকদারের পক্ষে এ রিট আবেদন করা হয়। রিটকারীর আইনজীবী এম. আসাদুজ্জামান জানান,  রওশন আরার দুটি  কিডনি অপসারণ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে। আর বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) কর্তৃপক্ষ ওই দুই চিকিৎসকের সনদ বাতিলপূর্বক তাদের চিকিৎসা পেশা থেকে অব্যাহতি দেয়ার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষকে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিএসএমএমইউর ভাইস চ্যান্সেলর, বিএমডিসি, বিএসএমএমইউর ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক হাবিবুর রহমান দুলাল, সহকারী অধ্যাপক ফারুখ হোসাইনসহ আটজনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, রিটকারী রফিক শিকদারের অভিযোগ, সম্প্রতি বিএসএমএমইউতে তার মায়ের একটি কিডনিতে অপারেশন করতে গিয়ে ভালো কিডনিও কেটে ফেলেন সেখানকার দুই চিকিৎসক। অস্ত্রোপচারের পর তার মায়ের ভালো কিডনিটিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি ও মেডিক্যাল বোর্ড  গঠন করলেও সঠিক তদন্ত না হলে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান রফিক শিকদার। এছাড়া এ ঘটনায় দায়ী চিকিৎসক চুক্তি করেছিলেন যে নিজ খরচে তিনি কিডনি প্রতিস্থাপন করে দেবেন। কিন্তু ওই চিকিৎসক কালক্ষেপণ করেন। বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন রওশন আরা গত ১লা নভেম্বর  মারা যান। পরে ওই ঘটনায় চিকিৎসক হাবিবুর রহমান দুলাল ও তার  সহযোগীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপসহ প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর