× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভোটের দিন প্রতিরোধের দেয়াল তৈরি করতে হবে -ফখরুল

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২১ নভেম্বর ২০১৮, বুধবার

৩০শে ডিসেম্বর ভোটের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটনো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ভোটের দিন প্রতিরোধের দেয়াল তৈরি করতে হবে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভোট কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। তবেই আমাদের জয় নিশ্চিত। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৪তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, জনগণ আমাদের শক্তি। তারাই সিলেট সিটি করপোরেশনে জয়লাভ করিয়েছে। সিলেটে সরকার কম চেষ্টা করেনি। কিন্তু পারেনি।
জনগণ প্রতিরোধ করেছে। সংসদ নির্বাচনে জনগণের শক্তি দিয়ে দেয়াল তৈরি করে প্রতিরোধ গড়তে হবে। সরকারকে বাধ্য করতে হবে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে। এর কোনো বিকল্প নেই। এটা আমাদের বাঁচা-মরার, অস্তিত্বের সংগ্রাম। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য ফখরুল বলেন, আপনারা পালিয়ে পালিয়ে না বেড়িয়ে জনগণের বাড়ি বাড়ি যান। তাদের ভোটের দিন নিয়ে আসুন। তাহলেই আমরা জয়যুক্ত হবো। ভোটের দিন সবাইকে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে আসতে হবে, ওখানে ভোটের চূড়ান্ত আন্দোলনের জয়লাভ করতে হবে। ৩০শে ডিসেম্বর নির্বাচনের দিন আমাদের সমস্ত সামর্থ্য ব্যবহার করতে হবে। আর আমাদের অস্ত্র হচ্ছে ভোটের অস্ত্র।
জনগণের ঐক্যকে সরকার প্রচণ্ড ভয় পেয়েছে। এত ভয় পাচ্ছে যে, লন্ডন থেকে তারেক রহমান স্কাইপে কথা বলছেন, সেটা পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে। আর গ্রেপ্তার করা হবে না, তারপরও গণগ্রেপ্তার চলছে। নেতা-কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছে। বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ হবে নাকি ধানের ছড়া এটা নিয়ে রিট করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে ৩০শে ডিসেম্বরের পর এদেশের স্বাধীন মানুষের পতাকা উড়বে, আওয়ামী লীগের পতাকা আর উড়বে না।
অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়নের নামে দ্রুতগতির ধনীর সংখ্যা বেড়েছে। ১কোটি শিক্ষিত বেকার হয়েছে। এসব প্রশ্ন করলে সরকার গালিগালাজ শুরু করে দেয়। আমরা এ পদ্ধতি বদলে দেবো, এ সমাজ বদলে দেবো, সে রকম সমাজ গঠন করতে চাই, যেখানে গণতন্ত্র সুশাসন উন্নয়ন সব একই সঙ্গে চলবে। বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা ঘরে থাকতে পারেন আর না পারেন মানুষের ঘরে ঘরে যেতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, তারেকের চিন্তা ভাবনা সুদূরপ্রসারী। তার এ মেধাকে দেশের কাজে লাগতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য নেতা-কর্মীদের ঢাকায় আর কোনো মিটিং না করে এলাকায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ওয়ান ইলিভেনের পর থেকেই তারেক রহমানের চরিত্র হনন শুরু হয়েছে যেটা এখনও চলছে। আওয়ামী লীগের কাছে আতঙ্কের নাম তারেক রহমান। এজন্য সরকার নিয়ন্ত্রিত বিচার বিভাগকে দিয়ে তার বিরুদ্ধে রায় দিচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, আজকে দেশের এ অবস্থার জন্য বিচার বিভাগ দায়ী। সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে এ রায় না দিলে দেশের এ অবস্থা হতো না। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর